বন্দর প্রতিনিধি //
বন্দর থানা বিএনপির সহ সভাপতি সানোয়ার হোসেনের নের্তৃত্বে বন্দর ১ নং খেয়াঘাটস্থ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর করেছে। বুধবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু, হুমায়ন, রিপনসহ ১০/১৫ জন মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ে। অন্তভর্তিকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। দেশব্যাপী সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান ইতিমধ্যে চলছে। তারপরও বিএনপি অলিখিত ভাবে ক্ষমতার দাপটে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। হামলা, ভাংচুর, লোপাট, দখলদারিত্ব হরহামেশাই চালাচ্ছে। গত ২ দিন পূর্বে মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে কৃষকরা পানিতে চুবিয়েছে। যা টক অব দা শহর। এর পূূর্বে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবু’র বাড়িতে র্যাব-১১ টিম অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করলেও বাবুকে পায়নি। অপরদিকে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি দাবী করে নানা অপকর্মের হোতা ও সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের সুপরিচিত পরিবারের ছেলে মনির হোসেন। মনির হোসেনের পরিবার মাদক সম্রাটের বন্দরের তালিকাভুক্তদের মধ্যে একটি।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের পরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর বিএনপির নেতারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর বিষয়ে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক এইচ এম মাহমুদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনার বিষয়টি আমাদের ওসি সাহেব তদন্ত সাপেক্ষে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।