Views: 22
নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরই মধ্যে বন্দর ১নং খেয়াঘাট স্ট্যান্ড, বাজার, অটো গ্যারেজ, দোকানপাট দখল, চাঁদাবাজির মতো কর্মকা-ে মহানগর যুবদল নেতা জোসেফ এর সন্ত্রাসী বাহিনীর সোহাগ এর নাম এসেছে। বিএনপির দলীয় কোন পদ না থাকলেও মহানগর যুবদলের নেতা জোফেস এর ছত্রছায়ায় এসব কর্মকা- করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান। এত দিন তাঁদের দখলে থাকা এসব দখলে নিয়েছে এই সোহাগ বাহিনী। এছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট করেন এই সোহাগ।
অন্যদিকে, অটো গ্যারেজ মালিক লিটনকে হুমকি, মারধর, হত্যার ভয় দেখিয়ে গ্যারেজ দখল নেয়ার ঘটনায় বন্দর থানায় সোহাগ সহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী। তবে অভিযোগও করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা ওই ভূক্তভোগী লিটন মিয়া।
জানা গেছে, কাজী সোহাগ, যাকে ঘাড় ব্যাকা সোহাগ নামেই বন্দরে পরিচিত। তিনি মূলত মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের অন্যতম সদস্য। সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে দুলাল প্রধানের বাহিনী নিয়ে বন্দর ১নং খেয়াঘাট স্ট্যান্ড দখল করে নিয়েছে। বাদ যায়নি অটো গ্যারেজসহ বন্দর ঘাটের আশেপাশের দোকান থেকে চাঁদা আদায় করাও। এছাড়াও সোহাগ বাহিনীর সাথে প্রতিনিয়তই মহড়া দিতে দেখা গেছে বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ অন্যতম সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সায়মন খানের প্রধান সেকেন্ড ইন কমান্ড কিমন খান, জুয়েল ওরফে ছেদা জুয়েল, আরিফ ওরফে কানা আরিফ, রোমান ওরফে কন্ট্রাক্টর রোমান, রানা, ফাহাদ, মাসুদ ও সিমরান খান। বিশেষ করে সোহাগ এর ক্যাশিয়ার হিসেবে রয়েছে আকাশ। তিনিই ঘাট থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। এরা মূলত: দুলাল প্রধান ও খান মাসুদের অন্যতম সদস্য সায়মন খানের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ব্যাপক তা-ব চালাচ্ছে সোহাগ ওরফে ঘাড় ব্যাকা সোহাগ। তাঁর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও থানায় অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। স্থানীয়দের মতামত বন্দর ঘাট থেকে এক খান মাসুদ গেলোও আরেক খান মাসুদের জন্ম হয়েছে, যার নাম কাজী সোহাগ ওরফে ঘাড় ব্যাকা সোহাগ।