বন্দর প্রতিনিধি // নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে ইউটান নিতে যাচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি, মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের বিভক্তিতে। নিজেদের অবস্থা অনেকটা হতাশাগ্রস্ত। হতে পারে ইতিহাস ভঙ্গের মতো কোন ঘটনার সূত্রপাত। দীর্ঘ ১৪ বছর পর মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি হলেও এর আওতাধীন ২৭ টি ওর্য়াড, ৩ টি থানা কমিটি করতে ব্যার্থ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর হঠাৎ করে ২৭টি ওর্য়াড কমিটির অনুমোদন দিয়ে বির্তকের জন্ম দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ত্যাগীরা। অবৈধ মনগড়া কমিটির বিরুদ্ধে প্রথমে কঠোর অবস্থানে যান মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, কমিটি ঘোষণার ১০ মিনিটের মধ্যে জোড়ালো প্রতিবাদ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ভাইরাল হয়ে উঠে। বিষয়টি দৃষ্টিতে পরে নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী, জি এম আরফাত, জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশ সিনিয়র নেতাদের।
দলীয় সাংগঠনিক গঠনমূলক মহানগর বা কেন্দ্রীয় কমিটি মহানগর ও ৩ টি থানা কমিটি ঘোষণা করবে। আর থানা কমিটি রাজনীতিতে সক্রিয়দের বেচে বেচে ওর্য়াড কমিটির অনুমোদন দিবে। যা কোন কিছু অনুসরন না করে মনগড়া কমিটি দিয়ে সামালোচমার মুখে পরেন। ইতিমধ্যে ১৭ টি ওর্য়াড কমিটির মধ্যে প্রায় সকল ওর্য়াড কমিটির পাল্টা কমিটি জমা দিয়েছে বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে । যা ইতিহাস সৃষ্টির সামিল। আওয়ামী লীগের মত সংগঠনে কি এতই সমন্বয়হীনতার অভাব যে এমন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে পাল্টা কমিটি জমা দিয়েছে।
এদিকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে ত্যাগী ও তৃনমূল হতে উঠে আসা যোগ্য নেতার হাতে দায়িত্ব দেয়ার জন্য বিশেষ আহবান জানিয়েছে তৃনমূল। বন্দর থানা কমিটি নিয়ে কোন জজমিয়ার নাটক মঞ্চিত হলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। কোন স্বার্থে মহানগরের অধীনে ৩ টি থানা আওয়ামীলীগের কমিটি দীর্ঘ ১৪ বছরেও করতে পারেনি। থানা আওয়ামীলীগ কমিটি দিতে ব্যার্থ হলেও দলীয় গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ১৭ টি ওর্য়াড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা দিয়ে নানা বির্তকের জন্ম দিয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় সকল কমিটির বিরুদ্ধে পাল্টা কমিটি জমা দিয়েছে। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাজের কাজ করতে না পারলেও দলের ভিতরে কোন্দল সৃষ্টিতে নজিরবিহীন অবজ্ঞা অবহেলার প্রমান করলেন বলে জানান ২৪ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সামাদ।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, থানা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটি ইতিমধ্যে কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বন্দর থানা কমিটি ঘোষণায় বিন্দু পরিমান পক্ষ নিলে, যথাযোগ্য নেতার হাতে দায়িত্ব দেয়া না হলে ঘটতে পারে স্বরনকালের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। যোগ্য নেতার জন্য প্রয়োজনে বন্দরের শহরের যোগাযোগ মাধ্যম ঘাটগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। বন্ধ করে দেয়া হবে সকল প্রকার যোগাযোগ মাধ্যম। দীর্ঘ ১৪ বছর পর হলেও যথাযথ নেতার হাতে দায়িত্ব দেয়া হলে সংগঠন হবে গতিশীল ও শক্তিশালী। পক্ষ বা অযোগ্য লোকের কোন প্রভাব বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান হলে বন্দরে স্বরনকালের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, বন্দরের ৯ টি ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের কমিটি করেছে (হাতে গুনা কয়েকজন বাদে)বাকী সব সাংগঠনিক , দক্ষ ,ত্যাগীদের বাদ দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাই ম্যান মাই ম্যান কমিটি করেছেন? এই ৯ টি ওয়ার্ডের ১৮ জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতি ওয়ার্ড হতে ৩১ জন কাউন্সিলর ৯ টি ওয়ার্ডে = ২৭৯ + ১৫ জন কো- অপ্ট = সর্বমোট ২৯৪ জন কাউন্সিলর থানা কমিটির সম্মেলনে ভোট দিবেন। ওয়ার্ডে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় না করার ফলে এই মানুষগুলোর নিজস্ব কোনো মতামতে কাউন্সিলর বা নিজের মন মত ভোট দিতে পারবে না বা পারার প্রশ্নই আসে না। যে কাউন্সিলর মাই ম্যান কমিটির লোকেরা মহানগরের পছন্দের ব্যাক্তি দিয়ে ভোট বানিয়েছেন। যে মানুষ জীবনে আওয়ামীলীগের মতো প্রাচিনতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না তাকে সভাপতি / সম্পাদক বানিয়েছেন কি আশ্চর্যের বিষয়? তারাওতো বিশাল পাওনা পেয়েছেন এখন যে যাকে বানিয়েছে তার কথার বাহিরে এক বিন্দুও যাবে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, ওয়ান ম্যান সো- দিয়ে যে মনগড়া কমিটি বানিয়েছেন তারা কিন্তু তাদের কথার বাহিরে গিয়ে একটা ভোটও দিবে না। তাহলে এই নাম কস্তে সম্মেলন করা আরো একটি ধোকা দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। বিষয়টি হচ্ছে ওয়ার্ড সভাপতি সম্পাদক যাই করছে না কেনো তারা যে পুর্নাঙ্গ কমিটি করেছেন তার চিত্র আরো ভয়ংকর। এরাই কিন্তু থানার ভোটার হবেন। আমরা বার বার বলেছি আমাদের মধ্যে যারা বঞ্চিত তাদেরকে নিয়ে আলোচনায় বসুন তাদের কথা শুনুন এই সব কথার পাত্তাই দেন না। বলে ওরা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। তারপরও বলেছিলাম কিছু লোককে পরিবর্তন করুন বা বুঝিয়ে বলুন ভবিষ্যতের আস্বস্ত করুন তখন বলেছেন আচ্ছা দেখি কয়েকজনকে করবে বলেও আস্বস্ত করেছিলেন। এই কথা বিশ্বাস করে বসেছিলাম কিন্তু সে কথাও না রেখে ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দিয়ে দিলেন। কার কথা বিশ্বাস করবো মানিনা এই অবৈধ, অসাংগঠনিক সম্মেলন। আগে ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করুন। যেহেতু কথা দিয়ে কথা রাখেননি সেহেতু আপনাদেরকে আর বিস্বাস করা যায় না। বার বার মিথ্যা বলেছেন আমি প্রমান দিবো। আবারো বলছি ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করে নতুন করে সম্মেলন দিন। ওয়ার্ডে দিবেন মনগড়া কমিটি আর এটাকে পুজি করে থানায় দিবেন সম্মেলন? এত কিছু হওয়ার পরও এ পর্যন্ত একবার আপনারা বসলেন না ।
হুমায়ন কবির মৃধা আরো জানান, মহানগরের শীর্ষ নেতাদের একাধিকবার বলেছি, এতো সোজা মনে করেছেন? আবার যখন তখন ভয় দেখান বহিষ্কার করবেন? আমারা এখন দোড়াইবো আর থামাতে পারবে না। বন্দর নিয়ে বহু খেলেছেন। আমরা আর অসাংগঠনিক খেলা খেলতে দিবো না। দীর্ঘদিনের অবহেলিত বন্দর থানা কমিটি নিয়ে
হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, আমি মহানগর ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং, ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করে পূনরায় মহানগর কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটি করুন। তা না করে উল্টো নেতাদের ডেকে নিয়ে বা মোবাইলে হুমকি দিয়েন না, বন্ধ করুন। তারপর উর্দ্ধতন কমিটি করার প্রস্তুতি নেয়ার কথা বারংবার বললেও চোরে না শুনে ধর্মের কথা। আওয়ামীলীগ কমিটি নিয়ে কোন জজমিয়ার নাটক করতে চাইলে জবাবটা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকরতম। ইতিহাস স্বাক্ষী হবে আপনাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক ভীত ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যে মিশনে আছেন তা কখনো সফল হতে দেয়া হবে না। এবার বন্দর থেকে সকলকিছুর কঠোর জনাব দেয়া হবে। দলীয় কোন্দল, গ্রুপিং, আর মাই ম্যানদের দ্বারা কমিটি করে সংগঠনকে নিষ্ক্রিয় করতে চাচ্ছেন। তা অন্য জায়গার কথা জানি না, বন্দরের মাটিতে কখনো হতে দেয়া হবে না।