জাগো নারায়ণগঞ্জ
বন্দরে সোহান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় বন্দর থানায় চার জনের নাম উল্লেখ ও ২০/২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগর রাতে নিহতের মা আকলিমা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আসামিরা হলেন ছালেনগর এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে রাজ, মৃত সামছু উদ্দিন প্রধানের ছেলে কাজল, সুমন ও বারীপাড়া এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে রোহান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোহান হুশিয়ারী কারখানায় চাকুরি করতেন। ঘটনার পূর্ব থেকে সোহানের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার আগে সোহান বাসা থেকে ৭ টা ৫ মিনিটে বের হয়ে যায়। ঔষধ কেনার জন্য সোহান এর মা জনৈক নাফিজের দোকানে ওষধ কিনে পোনে ৮ টায় সালেনগর নতুন মসজিদের সামনে পৌছলে উল্লেখিত আসামি সহ ২০/২৫জন অজ্ঞাত আসামিদের হাতে দা, চাইনিজ কুড়াল, সুইজ গিয়ার, রাম দা নিয়ে সালেনগর মোড় দিয়ে পশ্চিমে যাচ্ছিল। ওই সময় এক লোক জিজ্ঞাসা করে তোমাদের হাতে অস্ত্র-শন্ত্র কেন। তখন তারা উচ্চশ^রে বলে গরু-ছাগল মারতে যাচ্ছি না, মানুষ খুন করতে যাচ্ছি। ওই সময় সোহান এর মা ঔষধ কিনে বাসায় চলে যায়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, সোয়া ৮ টা থেকে ৮ টা ৪০ মিনিটে বন্দর থানাধীন রূপালী আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের পাকা রাস্তার উপর ২নং আসামির হুকুমে প্রকাশ্যে উল্লেখিত আসামিরা এক অপরের সহায়তায় তাদের হাতে থাকা অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালালে তখন সোহান তার জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে রূপালী বাগান জনৈক মুস্তাক এর বিল্ডিং এর নীচ তলার গেইটের ভিতরে প্রবেশ করলে আসামিরা দৌড়ে গিয়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো দা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, সুইজ গিয়ার, রাম দা দিয়ে এলাপাথারি কুপিয়ে ও ঘাই দিয়ে সোহানের বুকের বাম পাশে মারাত্বক রক্তাক্ত ছিদ্র করে এবং বাম হাতের পেশি, বাম পায়ের হাটুর উপরের বাম পাশে কেটে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থনে জখম করে। পরে ওই যুবককে রক্তাক্তা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সোহানকে মৃত ঘোষণা করে। ওই ঘটনার বিষয়ে পরিবার ও আতœীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।