নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকির নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ জাফরের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত আর ১১টি বাড়িঘর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নাসিক ২১নং ওয়ার্ডের হাফেজীবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ৮জন লোক আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে বিরাজ করলেও বন্দর থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনায় মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকি কে আসামি করে ২০জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী জাফর মিয়া।
অভিযুক্ত ছালেনগর এলাকার পিংকি ছাড়াও রয়েছে শাহি মসজিদ এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে রাজা, বাদশা, হেলি মিয়ার ছেলে দিদার, ছালেনগর এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে সাগর, মসজিদ এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে রুবেল, হাফেজীবাগ এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সোহান, রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নয়ন, ছালেনগর এলাকার মজিদ সিকদার এর ছেলে বাবু সিকদার, হাফেজীবাগ এলাকার হাসান পাচুর ছেলে হানিফ, শাহি মসজিদ এলাকার আলী আক্কাছ এলাকার সফিকুল ইসলাম, বউ বাজার এলাকার নুরা মিয়ার ছেলে রায়হান, হাফেজীবাগ এলাকার আমির মিয়ার ছেলে রিমন, অকিল মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, বাবুল মিয়ার ছেলে মেরাজ, বউ বাজার এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে মাহমুদ হোসেন, সেলিম মিয়ার ছেলে ফাহাদ সহ আরো ১০০/১৫০ জনের নামে অজ্ঞাতনামা করে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকির নেতৃত্বে বিএনপির নেতা রনি ও হোসিয়ারী ব্যবসায়ী জাফরের সাথে বিরোধ চলছিল।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে হাফেজীবাগ এলাকার পিংকির নেতৃত্বে হামলা ভাঙচুর চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকির নেত্বত্বে প্রায় ১০০/১৫০ লোক নিয়ে হাফেজীবাগ এলাকায় বিএনপির নেতা রনি ও হোসিয়ারী ব্যবসায়ী জাফর এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও আশেপাশের প্রায় ১১টি বাড়িঘরে হামলা চালায়। ওই সময়ে আহত হন অন্তত ৮জন। হামলা থেকে বাদ যায়নি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একটি গাড়িও। পরবর্তী সময়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা করলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় হাফেজীবাগ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘআশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।