নারায়ণঞ্জ প্রতিনিধি: যথাযথ ভাব গম্ভীর্যে ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে স্মরণ করে বন্দর থানার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান’র নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে বন্দর থানা প্রশাসন, স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষিকাগন, অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রথম প্রহরে ও ভোরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও সর্বস্তরের মানুষ স্কুল-কলেজের শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবস মানবজাতির জন্য বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। বাংলা ভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মদানে ৭৩ বছর আগে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যখন ভাষার দাবিতে আন্দোলন করে ঐ মিছিলের ওপর
কুখ্যাত নূরুল আমিনের পুলিশ বাহিনী ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালাচ্ছিল এবং সেই ঝাঁক ঝাঁক গুলির মুখে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার এবং নাম না জানা অনেক শহিদ ভাইয়েরা ফুলের মতো ঝরে পড়ছিল। তখন কেউ কল্পনাও করেনি যে, সেই মহান শহিদদের রক্তমাখা পথ ধরে বাঙালি জাতি একদিন হিমালয়সম বিশ্বগৌরব অর্জন করবে। ভাষা আন্দোলনের শহিদের সেই মহত্তম উৎসর্গের রক্তস্নাত পদচিহ্ন ধরে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদের দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ। বিশ্বমানবজাতির ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বাঙালি জাতির এটা এক অনন্য অবদান।
ইউনেসকোরও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার করেন। তাই পুণ্যময় ২১ ফেব্রুয়ারি, মানবজাতির পুণ্যময় শুভদিন। যেদিনের পুণ্যে মানবজাতি ধন্য, সারাবিশ্বে ভাষার জন্য একমাত্র বাঙ্গালী জাতীই লড়াই করেছিল। অন্য কোন জাতি ভাষার জন্য লড়াই করেনি।