বন্দর প্রতিনিধি / / গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর থেকে বিএনপি মাথা নাড়া দিয়ে উঠে ও দখল প্রক্রিয়া শুরু করে। যে সুযোগে বিএনপির নেতারা মেলাকে জুয়ার আসরে পরিনত করেছে। যা প্রায় দেড় যুগের রের্কড ভঙ্গ করেছে বলে স্থানীয় লোকদের ভাষ্য। তবে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর প্রশাসনের কি দৃষ্টিতে পরে না। তবে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস নির্বাহী কর্মকর্তা বাস্তবে উল্টো দৃশ্য। থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের পকেটে যাচ্ছে জুয়ার টাকা। বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে কদম রসুল দরগাহ’র ৪ দিনের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। দরগাহ হতে বরাবর শীতলক্ষা নদীর পার পর্যন্ত আর মা’র মাজার পর্যন্ত দরবারের সীমানা। মেলার অনুমতি দিয়েছে, অথচ নির্ধারিত সীমানা ছেড়ে ঐতিহ্যবাহী বুধবাড়িয়া হাট পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানসহ জুয়ার ভোটের অনুমতি দিয়েছে কে। মেলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন, এর অন্তরালে জুয়ার ভোটের অনুমতি দিয়েছে কে এমনই প্রশ্ন সর্বত্র। প্রতিদিন জুয়ার ভোট হতে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা যাচ্ছে কার পকেটে। দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর নিয়ে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দায় নিবে কে?? দরবার কমিটি, নাকি প্রশাসন??
বিভিন্ন প্রকার জুয়ার ভোটের মাধ্যমে আয়কৃত টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। জুয়ার আসর চালাতে গিয়ে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বুধবাড়িয়া হাটকে খেলার মাঠে রুপ দিয়েছে সিটি করপোরেশন। দেশের প্রেক্ষাপট, কোটির টাকার মাঠ নষ্ট করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আসলেও যাচ্ছে কার পকেটে। মেলার অন্তরালে জুয়ার বিষয়টি সর্বমহলে আলোচিত হলেও নীরব ও রহস্যজনক ভূমিকায় সিটি করপোরেশন, বন্দর উপজেলা ও থানা প্রশাসন। কার স্বার্থে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর। মেলার অন্তরালে জুয়া খেলার আসর বন্ধ করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র মতে, বন্দরের রানা, মনির ও মিদুলের নের্তৃত্বে মেলার অন্তরালে জুয়ার আসর চললেও দৃষ্টি যেন নেই প্রশাসনের। পবিত্র ১২ ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে কদম রসুল দরগাহ ৪ দিন ব্যাপী মেলার অনুমতি দেয়। দরগাহ হতে বরাবর পশ্চিম দিকে নদীর পার পর্যন্ত। মেলার ওই অনুমতির সুযোগে চালাচ্ছে জুয়ার আসর। প্রশাসনের সকল সেক্টর যেন রহস্যজনক ভূমিকায়। মেলার নামে ঐতিহ্যবাহী বুধবারীয়া হাটের মাট কোটি টাকায় খেলাধুলার জন্য করে। সেই কোটি টাকার মাঠ করছে নষ্ট, কুলশিত করছে মেলার ঐতিহ্যকে। টাকা যাচ্ছে কার পকেটে?? বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা ভিন্ন দেখা মিলেছে।
বিভিন্ন দরবার, আস্তানা এমনকি মাজারেও চলছে হামলা, ভাংচুর। যা নিয়ে প্রশাসন বিভ্রান্ত, এমনকি এগুলো রক্ষার্থে প্রশাসনের বিশেষ নজরদারীসহ স্থানীয় সুশীল সমাজও প্রস্তুত। সেখানে বন্দরের ঐতিহ্যবাহী কদম রসুল দরগাহ’র বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১২ ই রবিউল আউয়াল দিবাগত রাত ১২.১ মিনিটে রাসুল (সাঃ) র’ পদচিহ্ন কদম মোবারকের গোসল শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সেই ওরশ মোবারককে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। সেই মেলার নামে চলছে বিভিন্ন প্রকারের জুয়ার আসর, চরকি, সাবান খেলাসহ সকল কিছু।
যা নিয়ে সর্ব মহলে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। দরবারের মেলার পবিত্রতা রর্ক্ষাথে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
বন্দরের কদম রসুল দরগাহ’র বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১২ ই রবিউল আউয়াল দিবাগত রাত ১২.১ মিনিটে রাসুল (সাঃ) র’ পদচিহ্ন কদম মোবারকের গোসল শেষে মোনাজাতের পর তোবারক বিতরন করা হয়। ৪ দিনের জন্য মেলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। সেই সুযোগে অনুমতিবিহীন স্থানীয় খলিলুর রহমানের ছেলে রানা, মৃত আসলাম মিয়ার ছেলে মিদুলরা মিলে বসিয়েছে জুয়ার হাট। যেখানে দরবার, আস্তানা নিয়ে দেশব্যাপী চলছে অরজগতা, সেখানে কদম রসুল দরগাহ ওরশকে পুঁজি করে কিভাবে চালাচ্ছে জুয়ার আসর। রানা, মিদুলদের এমন দাম্ভিকতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল। প্রশাসনের এমন কঠোরতা থাকার পরও ঐতিহ্যবাহী মেলায় কিভাবে চলছে এগুলো। বন্দর থানা পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।