জাগো নারায়ণগঞ্জ:
ঈদ উপলক্ষে সেমাই-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দেয়ার কথা বলে প্রায় ৪ শতাধিক মানুষের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন পাখি আক্তার নামে এক যুবতী। পাখি আক্তার বন্দর সাবদি এলাকার দিঘলদী গ্রামের শহিদুল্লাহ ও পারভীন দম্পতির মেয়ে। খেটে খাওয়া মানুষের টাকা নেয়ার পাশাপাশি বিদেশ লেঅক নেয়ার নামেও প্রায় ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে পাখির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাবদি এলাকার দিঘলদী গ্রামে জৈনপুরী হুজুরের বাড়ির পাশেই পাখির বাড়ি। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে খেটে খাওয়া মানুষগুলো একসাথে এতটাকা সংগ্রহ করতে পারবেনা বলেই পাখির কাছে সাপ্তাহিকভাবে টাকাগুলো জমা রাখতেন। ঈদের ২/৩দিন পুর্বে পাখি খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে নেয়া টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে দিবেন বলেও আশ^স্ত করেছিলেন। কিন্তু রোজার ঈদের প্রায় ১০ দিন পুর্বেই খেটে খাওয়া মানুষের টাকা দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় পাখি। প্রায় আড়াই মাস খুজেও পাখির সন্ধান না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়েছেন তারা। খেটে খাওয়া মানুষের টাকা নেয়া ছাড়াও জমি ক্রয় করে দেয়ার কথা বলে আনোয়ার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেন চেকের মাধ্যমে এবং বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আরেক জনের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেয় ধুর্ত প্রতারক পাখি। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলো পাশাপাশি ভুক্তভোগী বিদেশগামী ব্যক্তি ও জমির ক্রেতা মহাধুর্ত পাখির কোন সন্ধান পাচ্ছেনা বলে জানান তারা। এয়াড়াও বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকেও নাকি টাকা উত্তোলন করেছিলেন এ পাখি। খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মত নিয়ে লাপাত্তা হয়ে আছেন পাখি।
তবে ভুক্তভোগীদের দাবী,নারায়ণগঞ্জ শহরেই কোন না কোনস্থানে অবস্থান করছে এ মহা প্রতারক পাখি। তাকে দেখামাত্র নিন্ম লিখিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। মো.আবদুর রব মোবাইল নঃ ০১৯৪৯০৫৬০১১। যদি কেহ এ মহা প্রতারক পাখির সন্ধান দিতে পারেন তাহলে তাকে উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করা হবে।