নিজস্ব সংবাদদাতা// নাসিক ২৭ নং ওর্য়াড বন্দরের ফুলহর এলাকায় গরুর হাট নিয়ে একাধিকগ্রুপ মুখোমুখি এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনলাইন পোর্টালসহ পত্র পত্রিকায় টানা ৩ দিন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সন্ত্রাসী বাহিনী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের যুবলীগ নেতা অহিদের ঘনিস্ট সহচর ও পার্টনার এম এ মোমেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে এম এ রশিদসহ জেলার শীর্ষ নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এম এ মোমেনকে পুঁজি করে হাটের অনুমতি চায় মোমেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেতারা মুখোমুখি অবস্থানে যাওয়ার এক পর্যায়ে এম এ মোমেনকে সার্পোট করে অহিদ। স্বৈরচারী সরকারের দোসর মোমেন এখন বিএনপির নেতা হওয়ার পায়তারা করছে। বহুরুপী অর্থ পিপাসু এম এ মোমেন সাংবাদিক সম্মেলন করে। বুধবার দুপুরে মদনপুর এলাকায় মোমেন সংবাদ সম্মেলন করে শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে বিভিন্ন মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা মিলেছে। এম এ মোমেন স্বৈরাচারী সরকারের অহিদের ব্যবসায়ীক পার্টনার। মোমেন দেওয়াববাগ, চাঁনপুর, ছোট দেওয়ানবাগ এলাকার ড্রেজার ব্যবসা দেখবালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ থেকে এখন বিএনপির নেতা হওয়ার পায়তারা করছেন। এর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে অহিদ। এম এ মোমেন সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নিজেকে বিএনপির নেতা বানাতে পারলে মনে ষোলকলা পূর্ণ হবে। শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টাসহ সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশাসনকে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধো ফেলেছে।
অবশেষে বির্তকের মুখে কোরাবানির পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া জমির উপর হাট বসানোর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি ফ্যাসিস্ট দোসর আনোয়ার হোসেন।
সোমবার ১২ মে দুপুরে বন্দর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে স্বশরীরে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আপত্তি জানিয়ে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
নিহাল টেক্সটাইল মিলস এর প্যাডে আবেদন করা ওই আপত্তি পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে স্থাানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ফুলহর মৌজায় আমার মালিকাধানী জায়গায় অস্থাায়ী কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য অনুমতি দিয়ে একটি অনপত্তিপত্র দিয়েছিলাম তা আপনার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই। বর্তমানে বিভিন্ন পরিস্থিাতি বিবেচনা করে ও ব্যক্তিগত কারণে আমি এখন আর উক্ত জায়গায় পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিতে ইচ্ছুক নই। তাই ফুলহর মৌজায় আমার মালিকাধীন জায়গায় পশুর হাট বসাতে অনুমতি না দেওয়ার জন্য সুমর্জি কামনা করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মদনপুর ফুলহর এলাকায় বিএনপির একাধিক গ্রুপ উক্ত স্থাান গুলোতে কোরবানী পশুর হাট করার জন্য অনুমতি চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পৃথক তিনটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
এর আগে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন যেসকল স্থাানে হাটের জন্য আবেদন এবং আপত্তিপত্র এসেছে তার সব গুলোই আমরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। সেখান থেকে আমাদের তদন্তের জন্য বলা হলে তদন্তের পর আমরা রিপোর্ট দিবো। তদন্তে শেষে বলা যাবে হাটের অনুমতি হবে কি হবে না।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড এলাকার মদনপুর ফুলহর এলাকায় হাটের অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন এসেছে। আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে হাটের জন্য আবেদিত কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করার পর এই আবেদনটি এসেছে। ফলে আমরা সেটি আর প্রেরণ করতে পারিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাানীয় সরকার শাখা খোঁজ নিলে তারা জানান, মদনপুর এলাকায় হাটের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দুটি স্থাানের আবেদন এসেছে। আমরা সেগুলো তদন্তের জন্য পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানকার সহকারী কমিশনা (ভূমি) এবং নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাটের অনুমোদন হবে কি হবেনা সেই সিদ্ধান্ত হবে। এম এ মোমেন সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিবেশকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।