নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো সাত খণ্ড লাশটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হচ্ছেন জসিম উদ্দিন মাসুম (৫৯) নামের এক ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মেহেদী ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, বুধবার দুপুরে কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের উত্তর পাশে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টর থেকে ওই খণ্ডাংশগুলো উদ্ধার করা হয়।
জসিম উদ্দিন মাসুম একজন শিল্পপতি। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মেহেদী ইসলাম জানান, ‘আমরা বুধবার যে খণ্ডিত লাশ পেয়েছিলাম, তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
জসিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
জসিমের বড় ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু বলেন, ‘দাড়ি, নখ ও বাম পায়ের কিছু চিহ্ন দেখে বাবার লাশ শনাক্ত করি। গত ১০ নভেম্বর বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি জিডিও করেছি। সেরা করদাতা হিসেবে আমার বাবা একাধিকবার কর বাহাদুর পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন শিল্পপতি। চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ আমাদের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাবার সাথে কারো শত্রুতা রয়েছে বলে জানা নেই।’
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ‘স্থানীয়রা সকালে লেকের পাড়ে তিনটি কালো পলিথিন ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে এক এক করে পলিথিনের ব্যাগগুলো খুললে একজন পুরুষের শরীরের মাথা, দু’টি হাত, শরীরের পেছনের অংশ, নাড়ি ভুঁড়ি, বাম পা, বাম উড়ুর কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়।’
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।