নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, ফিটিং বাজী, টাকার বিনিময়ে চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে তারা বেপরোয়া হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। কিশোরগ্যাং ইদানিং সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠছে এক আতঙ্কের নাম। রূপগঞ্জবাসী দিন দিন এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে।
সুত্রে জানা যায় বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং সদস্যরা সাওঘাট ঋষিপাড়া, বলাইখা, গোলাকান্দাইল, আমলাব, পোনাব, পাঁচাইখা, মাহনা, আধুরীয়া গ্রামের উঠতি বয়সের ছেলেরা। এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ইতোমধ্যেই এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্কর বিষয় হয়ে উঠছে। এদের হাত থেকে নিরীহ মানুষ, সাধারন ব্যবসায়ী, পথচারী ও রক্ষা পায়না বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসকল মাদকাসক্ত কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধের নিরাপদ স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছে উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকার আজিজ হাজীর ইটের খোলা, এলাচি হোটেলের দক্ষিণ পাশে ইটের স্থুপের আড়ালে, বিসমিল্লাহ আড়ৎ সংলগ্ন লতিফ সাবের খালি মাঠ, শের আলীর মেয়ের জামাইর মার্কেটের পিছন সাইট। এসকল যায়গায় মাদক সেবিদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা লক্ষ করা যায়।
গোলাকান্দাইল গোলচত্বরে অস্থায়ী চা ব্যবসায়ীরা জানান রাতে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক খেয়ে হাইওয়ে ও মহাসড়কে ঘোরাফেরা করে আর সুযোগ বুঝে রাস্তা থেকে পথচারীদের ধরে নিয়ে তাদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। এরা মানুষ বুঝে অনেককে আটক করে তাদের আস্তানায় নিয়ে মুক্তিপন আদায় করে বলেও জানা যায়।
মাহনা এলাকার মোশারফ হোসেন বলেন মাদকসেবি কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা এতোটাই বেপোয়ারা যে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদিকে হেনস্তা করে। কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা সবসময় রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে এসকল অপকর্ম করে আসছে। তিনি আরো বলেন মাদকসেবিরা দলবেঁধে রাতের বেলা ৮/১০ জন করে মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। তাদের মোটরসাইকেলের শব্দে এলাকার শিশুবাচ্চারা ঘুমাতে পারেনা।
এ ঘটনায় ভুলতা ফাঁড়ির আইসি (ইনচার্জ) মিজানুর রহমান বলেন আমি নতুন আসছি। বিষয়টি আমি কঠোরভাবে দমন করব। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।