ষ্টাফ রিপোর্টার:
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিগত ১৭ বছরে নিরীহ মানুষকে হত্যা,দেশের টাকা লোপাটসহ নানাবিধ কারনে। সেই নিষিদ্ধ আওয়ামী দোসররা নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে চলাচল করলেও গ্রেফতারের জন্য নেই কোন পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে আওয়ামীলীগের অন্যতম দোসর ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী এনসিসি সাবেক মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে গ্রেফতার করলে তার অন্যতম আস্থাভাজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার দায়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির এখনও রয়েছে প্রকাশ্যে আর চালিয়ে যাচ্ছে তার যাবতীয় কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা জানান, ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পুর্বে স্থানীয়দের কাছে আতংকের নাম ছিলো সিটি মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভীর হাতিয়ার এ কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির। বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে তার ওয়ার্ডের প্রতিটি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আওয়ামী ডেভিল ও পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করানো এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করাতেন তিনি। মনিরের সহকারী ইমরান জিসানও ছিলেন অন্যতম দোসর। ৫ আগষ্টের পর ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় কয়েকটি মামলার আসামীও হয়েছেন আইভীর দোসর ডেভিল কাউন্সিলর মনির। তিনি এখনও পর্যন্ত নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসন করতে তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গোপনে মিটিং করে যাচ্ছেন বলে একাধিক সুত্র জানান। ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা বিভিন্ন আওয়ামী দোসরকে সুসংগঠিত করে শান্ত ১৪ নং ওয়ার্ডসহ আশপাশে অশান্ত করার পায়তারায় লিপ্ত করছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান,যেখানে অপরাশেন ডেভিল হান্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেখানে আইভীর অন্যতম ডেভিল কাউন্সিলর মনির শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় অবস্থিত তার মনির রেস্তোরায় প্রকাশ্যেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ডেভিল হান্টের অভিযান যেন তাকে গ্রেফতারের পরিবর্তে স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য পুরোটাই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
এনসিসি ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবী,সাবেক মেয়র আইভীর অন্যতম সহযোগি আওয়ামী ডেভিল কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হোক।