নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও আলোচিত নেতা জাকির খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর তার বিপুল সমর্থক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে নগরীতে শোডাউন করেন। এতে নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হয় নগরবাসী।
জানা যায়, হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১-এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলা থেকে তিনি খালাস পান।
রোববার জাকির খানের মুক্তির খবরে সকাল আটটা থেকেই দলে দলে নেতাকর্মী ও তার স্বজনরা জেলা কারাগারের গেটের সামনে জড়ো হয়। এ সময় তারা ব্যান্ড বাজিয়ে ও স্লোগান দিয়ে উল্লাস করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় জাকির খান কারাগার থেকে মুক্ত হলে তারা ফুল ও মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এ সময় জাকির খান জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও ফিলিস্তিনের পতাকা নেড়ে আনন্দ উল্লাস করেন। পরে গাড়িতে চড়ে তিনি পুরো শহর ঘুরে শোডাউন করেন। এসময় নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, ‘আজ সকালে জাকির খানকে রিলিজ করা হয়। অনেক বছর আগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি পাঁচ বছর সাজা ভোগ করেন। সাজার মেয়াদ শেষ হলে আজ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এরমধ্যে ৩২ মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি ১ মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।’
সন্ত্রাসবিরোধী মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক আগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ তিনি সাজা শেষ করে মুক্তি পেয়েছেন।’