ষ্টাফ রিপোর্টার:
সারা দেশে যখন ১৫ আগষ্ট যখন বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালন করতে সাহস পায়নি কিন্তু কোন সাহসে তিনি নারায়ণগঞ্জের শহরের প্রান কেন্দ্রে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার শোক দিবস পালণ করেছেন মেয়র আইভী তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের দাবী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সমর্থনেই নাকি আইভী এরুপ দু:সাহসিক কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সাধারন মানুষের মতে যেখানে ধানমন্ডি ৩২ নং বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন কিন্তু মেয়র আইভীর বীরদর্পে ফুল দেয়াকে অনেকেই বলছেন “ঢাল মে কুচ কালা হ্যায়“
অবশ্য মেয়র আইভীকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আপনার নেত্রী খুনি হাসিনা কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে আপনি কিন্তু এখনো দেওভোগ বসে বসবাস করছেন। আমরা যদি নির্দেশ দেই তাহলে কিন্তু আপনার হোয়াইট হাউজের একটা ইটও থাকবে না।
অতএব আপনার সাবধান হয়ে যান। আপনি বিএনপি’র অফিস দখল করেছেন। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। আমরা চাই না কোনো খুনি হাসিনার প্রেতাত্মা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অবস্থান করুক। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথে থাকবো । ওনার নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
অতীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী গডফাদারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে আপনাকে মেয়র বানিয়েছে। কিন্তু আপনি আওয়ামী লীগের প্রতিটি অপকর্মের দোসর, দুর্নীতির দোসর। আমরা বলেছিলাম, ১৫ই আগস্ট কোন ষড়যন্ত্রকারী আমরা মাঠে দেখতে চাই না। খুনি হাসিনা, আওয়ামীলীগের কোন প্রেতাত্মাকে মাঠে দেখতে চাই না।
আপনি যেভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন, আপনাকে বলতে চাই অতি শীঘ্রই পদত্যাগ করুন। যদি এটা না করেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও করে আপনাকে বাধ্য করবো। আওয়ামীলীগের কোন দোসর ছাড় পাবে না। খুনি হাসিনার কোন দোসর ছাড় পাবে না। দুর্নীতিবাজ এমপি, মেয়র, কাউন্সিলর কেউ ছাড় পাবে না।
তবে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের মতে,বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা দেওভোগে অত্যন্ত সাবলিলভাবেই বসবাস করছেন দীর্ঘদিন যাবত। শুধুমাত্র দেওভোগে জাকির খানের সমর্থনেই নাকি তিনি আওয়ামীলীগের নেত্রী হওয়া সত্বেও বুক ফুলিয়ে চলাচল করেছেন। তিনি নিজ এলাকায় থেকেও অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের ফলে শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের অনেক মন্ত্রী,এমপি ও আমলা দেশত্যাগ করেছেন। তার ভাই নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান তার পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন। তার অবস্থাও তাই হবে। তার সরকার ও সে নিজেও উন্নয়নের নামে ব্যাপক দূর্নীতি করেছেন আর কামিয়েছেন অনেক টাকা। দূর্নীতির মাধ্যমে মেয়র আইভীর কামানো সমুদয় অর্থ বিদেশে অবস্থানরত তার স্বামীর কাছে পাঠিয়েছেন এমনটাই অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি। এখন আমরা চাই তিনি স্বসম্মানে তার মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দিক। নতুবা নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ তাকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে দিবেন।
তারা আরও বলেন, একটি পরিবার কিংবা গোষ্ঠীর অপকর্মের দায়ে মৃত্যুর কারনে তার শোকের জন্য দেশবাসী কেন শোক দিবস পালন করবে। আইভী তো একজন সুশিক্ষিত মানুষ তিনি কিভাবে বলেন যে,মৃত্যুর সময়ে আল্লাহর নামের পরিবর্তে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে যেন তার মৃত্যু হয়। একজন মানুষ কতটুকু নাফরমান হলে তার মুখ দিয়ে এরুপ কথা বের হয়। তাই আমরা বলতে চাই কোন নাফরমানের স্থান এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে হতে পারেনা।