ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে, আহত ও ত্যাগ করেছে তবুও মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, অনেক দল ও ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও নীতি আদর্শের পরিবর্তন হয়নি ।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে দুর্নীতি বন্ধ হয় না, ধর্ষকের মাধ্যমে ধর্ষণ বন্ধ হয় না, ডাকাতের মাধ্যমে ডাকাতি বন্ধ হয় না, সন্ত্রাসীর মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধ হতে পারে না।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, অন্তবর্তী সরকারের সংস্কারে কোন কোন দল বারবার বাধা দিচ্ছে, এর কারণ হচ্ছে- চোরে চোরে হালি এক চোরে বিয়ে করে আরেক চোরের শালী। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫৩ বছর পর্যন্ত এরা সিন্ডিকেট করে দেশটাকে লুটপাট করার জন্য ঐক্য হয়েছে। এক চোর চুরি করে, আর এক চোরকে সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য এমন এতো দিন আমরা করেছি, এখন তোরা কর । এই চোর ও ডাকাতদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। জনগণের রক্ত নিয়ে যারা বারবার হোলি খেলেছে তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। ৫ আগস্টের পরে যারা দখলদারিত্ব করেছে, খুন করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, জুলুম ও অবিচার করেছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাইনা, জনগণও তাদেরকে ক্ষমতায় নিবে না।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩নং ওয়ার্ড এর সভাপতি মুহা. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। গণ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি মুহা. বিল্লাল হোসেন, সহ-সভাপতি ইসমাইল, সেক্রেটারি হাফেজ মাও. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, শ্রমিক আন্দোলন থানা সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ মোল্লা, যুব নেতা মাও. নাসির উদ্দিন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদ থানা সভাপতি মাও. শামসুজ্জামান, ছাত্র আন্দোলন থানা সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান বক্তা মাও. শামসুল আলম বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিন্ডিকেটমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নীতি ও আদর্শবান ব্যক্তিদেরকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এছাড়া বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করলে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। এজন্য শুধু নেতা নয় নীতির পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টকে হটাতে পারলে বৈষম্য দূর হওয়ার প্রত্যাশায় দেশের মানুষ মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মানুষ মনে করেছিলো শান্তি ও মুক্তি পাবে, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমরা নিজেরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে রাজপথে অবস্থান নেয়ার কারণে দেশের মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।