স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদ ঘনিয়ে আসছে তবুও যেন ফাঁকা নারায়ণগঞ্জের শপিংমলগুলো। প্রথম রোজা থেকে অনেকটা মাথায় যেন হাত পোশাক ব্যবসায়ীদের। ঈদ উপলক্ষ ছাড়াও যেখানে জমজমাট থাকে শপিংমল সেখানে ঈদ সামনে তবুও যেন ক্রেতা শূন্য। তবু রমজানের শেষ দিক দিয়ে এখন কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের উপস্থিতি। কতটা বাড়বে বা ঈদ উপলক্ষে অধিক লাভ করবে এ আশা ছিড়ে এখন যেন দোকানীরা লোকসান থেকে বাচার চেষ্টা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় আসন্ন ঈদে পোশাকের দ্বিগুন মূল্য থাকায় অনেকটা গরম হয়ে ক্রেতা শূন্য হয়ে আছে শপিংমলগুলো এমনটাই সরেজমিনে ২৫ মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের বিভিন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে এচিত্র।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র চাষাড়া। আর চাষাড়া গোলচত্তরের পাশেই অবস্থিত একাধিক শপিংমল। তাদের মধ্যে শান্তনা মার্কেট একেবারে গোলচত্তরের পাশেই। একেবারে যেন ক্রেতা শূন্য। যেখানে ক্রেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে সেখানে পুরো মার্কেট ঘুরে কয়েকজন ক্রেতা দেখা গেলো। পোশাক দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, পোশাকের দাম প্রচুর। দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যায়।
শান্তনা মার্কেটের পাশেই জয়নাল ট্রেড সেন্টার। সেখানে কিছুটা ক্রেতাদের সংখ্যা লক্ষনীয় হলেও তা যথাসামান্য বলে মনে করছে দোকানীরা। ক্রেতাদের সংখ্যা যদি না বাড়ে আর বেচাকেনা এভাবেই চলতে থাকলে এবার মাথায় হাত পড়বে মনে করছে ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ঈদ আসলেই নারায়ণগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় চাষাড়ার সমবায় মার্কেট। তবে ঈদ আসতে আর কিছুদিন বাকি এখনো অনেকটাই ফাঁকা ও ক্রেতা শূন্য এই মার্কেট। এবিষয়ে সমবায় মার্কেট এর পোশাক ব্যবসায়ী জাকিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আপনেরা জানেন ঈদ ছাড়াই সব সময় ক্রেতাদের ভীড় লেগে থাকে এই মার্কেটে। তবে এবছর ঈদ উপলক্ষে বিগত বছরের তুলনায় একেবারে ক্রেতাদের কেনাকাটা তুলনামূলকভাবে কম। এর প্রধান কারনই প্রত্যেকটা পোশাকের দাম অধিক। যেখানে বাচ্চাদের এক একটা পোশাকের দামই সর্বনিন্ম ৩ হাজার টাকা আর বড়দের পোশাক তো আরো। এসব কারনে এবার এখন পর্যন্ত বেচাকেনা একেবারেই কম অন্যান্য বছরের ঈদের তুলনায়। তবে দুই তিন ধরে কিছুটা ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে।
মধ্যবিত্তদের মার্কেট বলতে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিবাজার ফ্রেন্ডস মার্কেটকেই বেশি বুঝানো হয়। ঈদ ও পূজা পার্বণ ছাড়াও এই মার্কেটে সারাবছর ক্রেতাদের ভীড় লেগে থাকলে এবার কেন যেন জিমিয়ে গেছে। আর অনেকটা বসে বসেই দোকানিরা সময় পার করছে ক্রেতাদের না পেয়ে দোকানীরা। কারন জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানায়, পোশাকের দাম বেশি। তাছাড়া ২৪ এর আন্দোলনের পর থেকে যেন একটা অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ছে মানুষ। যেকারনে যে হারে ঈদ আসলে ক্রেতাদের ভীড় দেখা যায় তার ১০ ভাগের ৪ ভাগও এখন নাই।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের একটি সুনামধন্য শপিংমল মার্ক টাওয়ার। সেখানে একই অবস্থা। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সময় পাড় করছে দোকানীরা। তারা জানাই মূলত বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় এবং পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় এবছর এ শপিংমল একেবারেই ক্রেতা শূন্য। তবে দুই একদিন ধরে কিছুটা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে কিন্তু তা আশানুরূপ নয়। এই মুহূর্তে লাভ নয় কিন্ত লোকসানের হাত থেকে বাচতে চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
একই অবস্থা হক প্লাজা, পানোরামা প্লাজা, মিড টাউন শপিং কমপ্লেক্স, আলমাস পয়েন্ট, জিরো পয়েন্ট, জিরো পয়েন্ট, আড়ং, টোকিও প্লাজা, লুৎফা টাওয়ার, সোলসটা, আব্দুল হামিদ সুপার মার্কেট, টপ মার্ট, আজাহার সুপার মার্কেট, ডিআইটি মার্কেট, টপ টেন, লা রিভ সহ প্রতিটি শিপিংমলগুলোতে।