ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দীর্ঘিদন যাবত কমর্রত মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকের উপর বৈষম্যকরণ, ক্ষমতার অপব্যবহারকরণ, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগের জেলার সাবেক সাংসদদের চাটুকারিতা সহ বিভিন্ন অভিযোগ ও নারায়ণগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মোঃ রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ১২ ( ২৯/১০/২৪ইং)। ধারা:১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/ ৫০৬(২) পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলার বিবরণে মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, উক্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামী ১। আবু সাউদ মাসুদ (৫০), পিতা- ও সাং-অজ্ঞাত, সম্পাদক দৈনিক সোজা সাপটা, নারায়ণগঞ্জ, ২। রফিকুল ইসলাম জীবন (৫২), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- অজ্ঞাত, সাধারন সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ, ৩। বিল্লাল হোসেন রবিন (৪৫), পিতা ও সাং-অজ্ঞাত, সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ, ৪। জুয়েল (৪২), পিতা ও সাং-অজ্ঞাত, সাংবাদিক মাছ রাঙ্গা টেলিভিশন, ৫। মাহফুজ (৫৫), পিতা ও সাং-অজ্ঞাত, (চাকুরীচ্যুত বিটিভি), নারায়ণগঞ্জ ৬। আহসান সাদিক শাওন (৪২), পিতা ও সাং-অজ্ঞাত, সাংবাদিক চ্যানেল ২৪ জেলা প্রতিনিধি সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে বিগত ২৯/১০/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:০০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন বিবি রোডস্থ চাষাডড়য় অবিস্থিত নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ৫ম তলায় আমি, ভিকটিম সাংবাদিক মাসুদ রানা রনি (সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ মেইল ডট কম) সহ আরো ৮ জন স্থানীয় স্বনামধন্য সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নেয়া উপরোক্ত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা (যাহারা স্বৈরাচারের দোসর হিসাবে প্রেস ক্লাব জবর দখল করে রেখেছে) ১ও ২নং আসামীদের হুকুমে অন্যান্য সকল আসামীগন হত্যার উদ্দেশ্যে অতকির্ত ভাবে আমি সহ সকল নিরস্ত্র সাংবাদিকদের উপর লাঠিসোটা, লোহার পাইপ, ইলেকট্রিক শক দেয়ার ডিভাইস, ব্যাজ বলের ব্যাট ও দেশীয় অস্ত্র দিযে এলোপাথাররী ভাবে আক্রমন করে। ১নং আসামী হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা চাপাতি দিয়া ভিকটিম মাসুদ রানা রনির মাথার বাম পাশে চোখের উপরে কোপ দিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং সে সময় ভিকটিম মাসুদ রানা রনি যেন সড়তে না পারে সেই জন্য ২নং আসামী ভিকটিম মাসুদ রানা রনিকে পিছন দিকে হতে ঝাপটে ধরে রাখে। ৩নং আসামী বিল্লাল হোসেন রবিন তার হাতে থাকা অবৈধ বৈদশিক হাই ভোল্টের ট্রেজার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক শক দিলে ঘটনাস্থলে রনি বেহুশ হয়ে পড়ে যান। বেহুশ অবস্থায় ২নং আসামী ১নং আসামীর হাত হতে চাপাতি নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুণরায় মাথার বাম পাশে একই ক্ষত স্থানে হত্যা নিশ্চিত করতে পুনরায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৪, ৫ ও ৬নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা লোহার রড, হকিষ্টিক, লাঠি শোঠা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদ রানা রনি, আমাকে এবং আমাদের সাথে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকদেরও পিটিয়ে নিলাফোলা জথম ও লাঞ্ছিত করে। পরবর্তীতে আমরা আহত মাসুদ রানা রনিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়া যাওয়ার জন্য প্রেস ক্লাব হতে বের হওয়ার সময় আসামীরা এই বলে হুমকি প্রদান করে যে, পুনরায় প্রেস ক্লাবের আশেপাশে দেখলে জীবন নিয়ে ফিরতে দিবে না এবং আমরা নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে তোদের দেখে নিব মর্মে হুমকি প্রদান করে। ৩নং আসামী এই বলে হুমকি প্রদান করে যে, আমার নামে ইতিমধ্যে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে। তোদের মামলা হামলায় আমাদের কিছুই আসে যায় না। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালেভর্তি করে। ভিকটিম মাসুদ রানা রনি বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উক্ত মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম।