স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বছরের ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও, তাদের দোসররা রয়েছে এখনো সক্রিয়। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে ফ্যাসিবাদ সরকারের এজেন্টদের আনাগোনা। আর এই সকল দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন কথিত কিছু নামদারী বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্য করে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মানেই হচ্ছে চাঁদাবাজীর অভয়ারন্য। আর এই চাঁদাবাজীর মহাৎসবে মেতে উঠেছে আওয়ামী দোসরদের পাশাপাশি বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতা বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু দায়িত্বরত কর্মচারী।
তাদের দেয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়, সদ্য বদলি হয়ে আসা লাইন মিস্ত্রি গ্যাং নং ৫ কামাল খাঁন। যার রাজনৈতিক পরিচয় ৫ই আগষ্ট পযর্ন্ত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি। নানা অপকর্মের অপবাদে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলি করা হয়ে ছিলো।
কিন্তু নিজের আখের গুছাতে ৫ই আগষ্টের পর আবারও উৎকোচের বিনিময় নারায়ণগঞ্জে বদলি হয়ে আছেন কামাল খান। নারায়ণগঞ্জে বদলি হয়ে এসেই অল্প কয়েকদিনে চাঁদাবাজীর ভাগের লাখ টাকা নিজের পকেটে ভড়ে নিয়েছেন। রেলওয়ের জমিতে দোকান তুলে মাশোয়ারার পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় তার চাঁদাবাজীর সীমানাকে প্রশার করতেই কাকড়ার ন্যায় চতুর পাশে নিজের হাত পা ছড়িয়ে নিচ্ছেন নিজের ইচ্ছে মত। তার কাছে অনেকটাই ধরাশাই বর্তমান জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দলের কমিটির অনেকেই।
সূত্র আরও জানায়, কামাল খানের পাশাপাশি জেলা জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন পদে তিনি চাষাড়া রেলওয়ে গেইটের গেইট কিপার। তবে সর্বস্থরে তিনি নিজেকে যাহির করে বেড়ান চাষাড়া ষ্ট্যাশন মাষ্টার হিসেবে। গেইট কিপার বেলাল রেলওয়ের জায়গায় দোকান বসিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন অংকের টাকা চাঁদা তুললেও তাকে দমাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে টিকিট সিন্ডিকেটের পাশাপাশি বদলি বানিজ্য চালিয়ে নিজের আখের গুছাচ্ছেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িতদের ঢাকার বাহিরে আর আওয়ামীলীগের সমর্থকদের ঢাকার ভিতরে বদলি করার আশ্বাস দিয়ে লুটে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্মরত অনেক শ্রমিক নাম প্রকাশে অনিছুক কয়েকজন বলেন, এতোদিন স্বৈরাচারী সরকারের নেতাদের চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কথা বললেই বদলির পাশাপাশি নানা হয়রানীর শিকার হতে হতো। ৫ আগষ্টের পর অনেকটাই আশায় বুক বেধে ছিলাম স্বৈরাচার মুক্ত দেশে চাঁদাবাজ মুক্ত রেলওয়ে পাবো।
কিন্তু সেটা আমাদের জন্য দিবা স্বপ্নে পরিনত হলো। আমরা রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আহবান করবো এই সকল চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি গ্রস্থ্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য। যাতে করে বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থায় কর্মরত প্রতিটি কর্মচারী যেন তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠিার সাথে পালনে কোন বাধাগ্রস্থ না হয়।