ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা:সেলিনা হায়াত আইভী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেনের অন্যতম সহচর সুব্র্রত কুমার সাহা । এনসিসি ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে যার প্রভাব ছিলো পুরো নিতাইগঞ্জ জুড়ে।
সে সুবাদে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে টান বাজারে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেরিয়েছে এবং টান বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেক টাকা চাঁদা আদায় করেছে । ১৫ নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের পদ্ম প্লাজায় তিনটি ফ্ল্যাট জোর করে দখল করেছে এবং বিভিন্ন ফ্ল্যাট মালিক কে সেই বিল্ডিং থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে । ক্ষমতার জোরে সে এসব কাজ করেছে। সে ইয়ান মার্চেন্ট এর গ্রেফতারকৃত সভাপতি লিটন সাহার সাথে মিলেও ইয়ান- মার্চেন্ট থেকেও অনেক টাকা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছে। সেই আত্মসাতের টাকায় এস এ ইন্টারন্যাশনাল,এপি ট্রেডার্স ও পার্থ নামে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এ সুব্রত। যার দুইটি ফলপট্রি এলাকায় অপরটি টানবাজার এলাকায়। এই সুব্রত সাহা ছাত্র জনতার উপর জুলাই আগস্টে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং বোমা নিক্ষেপ করেছে।
সে টানবাজার,সরওয়ারদী সড়ক,বঙ্গবন্ধু সড়ক ,২ নম্বর রেলগেটের ছাত্র-জনতার ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করেছে এটা নারায়ণগঞ্জবাসী সবাই দেখেছে । সে এখনো নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির মধ্যে অবৈধভাবে পদ দখল করে বসে আছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলে সে ফলপট্টি,দীগু বাজার,টান বাজারে বিভিন্ন দোকানে অবৈধ কসমেটিক এবং নকল কসমেটিক্ সরবরাহ করতো দোকানদাররা তার এই সকল নকল কসমেটিক নিতে না চাইলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতো এবং এখনো দেয়।
জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যায় এবং এরপর এই সুব্রত সাহা তার নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পদের বলে টানবাজারের বিভিন্ন হিন্দুদের রাস্তায় নামাতে বাধ্য করে ইউনুস সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। বীর দর্পে সে আবার এগুলো তার ফেসবুকে পোস্ট করেছে এইসব ছবিগুলা নিন্মে দেওয়া হল । এখনো এই সুব্রত সাহা টানবাজার তথা সারা নারায়ণগঞ্জ শহরের বীর দর্পে চলাফেরা করছে এবং তার সকল অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পন্ন করে যাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করছে না। সে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে শহরে অনেক অত্যাচার করেছে এবং অবৈধ অনেক টাকা কামিয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৫ নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা জানান, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ^াস ও সিটি কর্পোরেশনের উচ্চ পদে থাকা ২/১ জন কর্মকর্তার যোগসাজেসে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বিল্ডিংয়ের রংয়ের কাজগুলো ভাগিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিতরন করতেন। আর এভাবেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এ সুব্রত। তারা আরও বলেন,শুধুমাত্র সনাতনী সাইনবোর্ডটি ব্যবহার করেই প্রকাশ্যে বীরদর্পে বুক ফুলিয়ে চলাচল করছেন নিষিদ্ধ এ আওয়ামী দোসর। আর এ সনাতনী সাইনবোর্ড ব্যবহার নারায়ণগঞ্জের অনেক আওয়ামী দোসরদের কালো টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ডা: আইভী গত সপ্তাহে গ্রেফতার এবং আনোয়ার হোসেন ৫ আগষ্টের পর গা-ঢাকা দিলেও পালাতে হয়নি এ সুব্রতকে। তাদের মতে,আইন যদি সবার জন্য সমান হয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী দোসর সুব্রত কুমার সাহাকে এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি। যেখানে সারাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী দোসরদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে সেখানে সদর মডেল থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দুরে অবস্থানকারী সুব্রত কুমার সাহাকে গ্রেফতার না করাটাকে ভিন্নখাতে দেখছেন স্থানীয়রা।
তারা অতিদ্রুত নিষিদ্ধ আওয়ামী ডেভিল সুব্রত কুমার সাহাকে গ্রেফতারের জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত কুমার দাসের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এগুলো সব মিথ্যা। আমি কি এত টাকার মালিক। পদ্ম সিটিতে আমার একটি ফ্লাট রয়েছে যেখানে আমি বসবাস করি। আপনি প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে আমার বিষয়ে খোজ নিতে পারেন। আওয়ামীলীগের নেতা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাই আমি আরো ৪ বছর পুর্বে আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে সরে দাড়িয়েছি। আমি এখন কোন দল করিনা।