কলকাঠি নাড়ছে যুব সংহতির শাকিল, টাকলা মুরাদ,
নিজস্ব সংবাদদাতা // নানা ছক, কৌশল অবলম্বন করে স্বৈরাচারী সরকারের ওসমান পরিবারের দোসররা নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর যাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মত লোক ছিল না। দোসরদের তান্ডবলীলা আদীম যুগের বর্বতাকে হার মানাতো। সেই দোসরদের মধো শাকিল বন্দর উপজেলা যুব সংহতির নেতা। ওসমানদের দোসর শাকিল স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের প্রভাব খাটিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া শাকিল গিরে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা। স্কাইপের ব্যবসা দিয়ে জীবন যাপন শুরু হলেও বর্তমানে বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছে। নানা কৌশলে বিএনপির কিছু কতিপয় নামধারী নেতাদের গোপন সখ্যাতার মাধ্যমে নিজ এলাকায় তারা ফিরতে শুরু করেছে। নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দরের দেউলী এলাকার শাকিলসহ তার বাহিনী ইতিমধ্যে পূর্বের অবস্থান পরিস্কার করছেন।
সূত্র মতে, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আজমীর ওসমানের নাম দিয়ে বিভিন্ন জমি ওয়ারিশ কিনে এখন একাধিক জমির মালিক, কয়েকটি বাড়ির মালিক। আজমির ওসমানের বেতন ভুক্ত গুন্দা ছিলো মাসে ২০ হাজার টাকা পেতো।
জামায়েত বিএনপির লোকজনদের কাছ থেকে চাদা নিতো মামলার বয় দেখিয়ে,না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে শাকিল নিজে গিয়ে ধরিয়ে দিতো। বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের নজরধারিতে রেখে আজমির ওসমানের ক্যাডার টাকলা মুরাদকে দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী বানিয়ে টাকা নেওয়াই ছিলো তার বড়ো টার্গেট।
ড্রেজার ও বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ মাদক ব্যবসায়ীদের সম্রাট,(যেমন ইয়াবা,ফেনসিডিল ও গাজা)
স্বৈরচারী সরকারের ওসমানদের দোসর এই শাকিলের খুটির জোর কোথায়? নিজ এলাকায় বসবাস করে সকল কলকাঠি নাড়ছে। শাকিল ফোন দিলেই পুলিশ ১০ মিনিটের মধ্যে হাজির হয়ে যায়, শাকিল বলে দৈনন্দিন শাকিলের অফিসে পুলিশ এসে চা খরচ নিয়ে যায়। শাকিলের খুটির জোর কোথায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উপর সরাসরি হামলা করে আজমির ওসমানের ডান হাত কাজি আমিরে নেতৃত্বে। কুশিয়ারা সজন হত্যায় ও শাকিলের সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো বলে পরিবারের দাবী৷ তারপরও বহাল তবিয়তের কারনে মামলায় নাম নেই , কিন্তু যেই কোনো সময় এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে বলে জানান নিহজ সজনের ভাই মামলার আসামী অনিক।
অনিকের বক্তব্যে অনিক তাকে দেখেছেন।সজন হত্যা মামলার এক নাম্বার সাক্ষি বিএনপি নেতা সুজন একই বক্তব্য দেয়। শাকিল খুব চতুর তার নামে অভিযোগ থাকলেও পুলিশ মামলা নেয়না।
নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দর অপরাধীদের অভয়ারণ্যে, ওসমানদের দোসররা ফের সক্রিয় অবস্থানে। নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে প্রতিনিয়ত মহরা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহে বন্দর থানা পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল উদ্ধার করলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে৷ দোসরদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে গেলে বের হয়ে আসবে আরো চমক প্রদক ও লোমহর্ষক পরিকল্পনার ইতিহাস।
নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড বন্দর যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। নানা প্রকার অপরাধ জগতের সম্রাটদের বসবাস ও বিচরন এ ওর্য়াডে। দীর্ঘদিন যাবত অপরাধ জগতের লোকদের কাছে সাধারণ /সচেতন মানুষসহ বিভিন্ন মিল কারখানার মালিকরা জিম্মি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লোকজন জানান।
সূত্র মতে, বন্দরের কাইতাখালী, রওশনবাগ, দেউলী, চৌড়াপাড়া, বক্তারকান্দি, নোয়াদ্দা, আমিরাবাদ, বটতলা এলাকা নিয়ে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড। এ ওর্য়াডে ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া জুট মিল, এসিআই, আকিজ কোম্পানি, ভূমি অফিসসহ ছোট বড় প্রায় দেড় ডজন মিল কারখানা রয়েছে। মিল কারখানায় উৎপাত, নিজেদের প্রভাব বিস্তারসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। প্রতি রাতেই ঘটছে ছিনতাই, চুরির মহাৎসব। মূলত ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসনের তৎপরতা তেমন নেই। সেই সুযোগকে পুঁজি করে চক্রগুলো এলাকায় চরম অরজগতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কেউ দেখলেও না দেখার মত থাকতে হয়। বাধা দিবেতো দূরের কথা। রাত যত গভীর হয় চক্রটির কাজ তত সহজ হয়। আকিজ কোম্পানির গাড়ী রাতে আমিরাবাদ হতে লোড করে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারী চক্রটি দাড়ালো ছুরি দিয়ে চালকদের আটক করে। সিগনাল দিয়ে গাড়ী আটক পূর্বক তাদের সাথে থাকা মোবাইল, বিকাশ করে টাকা নিয়ে তাদের ছাড়ে।
আবুল কালাম নামের এক চালক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩ টার দিক গাড়ী নিয়ে যাওয়ার পথে বটতলার শাখা সড়কে ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ। প্রতিজনের হাতে দাড়ালো ছুরি। গাড়ি থামাতেই ৩ জন গলায় ছুরি ধরে আমার ও হেলপার সজিবের মোবাইল নেয়। মোবাইলের পিন কোর্ড দিয়ে লক খুলে। ২ জনের মোবাইল পিন কোর্ড ও বিকাশের পিন কোর্ড নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়। আমাদের ২ জনের বিকাশে ১৪ হাজার ৫শ টাকা ছিল৷ মোবাইল ২ টার দামও প্রায় পুরাতন হিসেবেও ১৫/১৭ হাজার টাকা হবে। ওরা ওই সময় এতটা হিংস্র থাকে কথা বললে বিপদ গঠতে পাড়ে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ রাস্তায় আসা যাবে না। যে প্রতিষ্ঠানের মালামাল আনা-নেওয়া হয়, তারা যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে এমন সময় আসবে কোম্পানি কোন ট্রান্সপোর্টের গাড়ী পাবে না। প্রশাসনের অভিযান কম থাকায় ছিনতাইকারীরা প্রতিনিয়ত বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে আকিজ কোম্পানির সিও হাসানুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।