প্রেসবিজ্ঞপ্তি
১৬ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টায় চাষাড়াস্থ বিজয় স্তম্ভে মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গণসংহতি আন্দোলন। দলীয় কার্যালয় থেকে বিজয় মিছিল শুরু করে শহরের মুল সড়ক দিয়ে বিজয় স্তম্ভে আসেন।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান এবং আমরা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখান করি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তিক্ততার দিকে ঢেলে দিবে। ভারতকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ মানে হাসিনা নয়। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশের জন্ম। জীন দিয়েই বাংলাদেশের জনগণ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, কারো দয়া কিংবা করুণায় নয়। ২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করে যে নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে তার স্বীকৃতি ভারতকে দিতেই হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণ ভারতে আধিপত্যবাদী নীতির কাছে নতি স্বীকার করবো না। মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার নামই স্বাধীনতা।
মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার লক্ষে পাকিস্তান কায়েম করেছিলো। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে পুনরায় বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেয় পূর্ববঙ্গের জনগণকে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের মানুষ বাংলাদেশ কায়েম করলেও, সে সময় আওয়ামীলীগ মানুষের সমর্থনকে পুজি করে নতুন লুটেরা গোষ্ঠি তৈরির উদ্দেশ্যে এককেন্দ্রিক সংবিধান কাঠামো প্রণয়ন করে। যে সংবিধান এই অঞ্চলের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার বদলে শাসকগোষ্ঠীকে দিয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন ক্ষমতা। সেই ক্ষমতাকে পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে সর্বশেষ আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলো। ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সাথে ২৪ এর শহীদদেরও স্মরণ করছি আজকের দিনে। আমরা মনে করি যেভাবে ৪৭ এসে মিশে গিয়েছিলো ৭১-এ, ঠিক সেই রক্তের ধারাই মিশে গেছে ২৪ এর নতুন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফ্যাসিবাদের পতন হলেও ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার এখনো পতন সাধিত হয়নি। তাই আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রস্তুত এবং দেশের জনগণকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভারতীয় আদিপত্যবাদ মোকাবেলার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।
পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধাঞ্জলিতে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন আলম, এস এম রাব্বি, আওলাদ হোসেন, জাহিদ সুজন, রাকিবুল হাসান দিপু, মহানগর কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, জিয়াউর রহমান জয়, মোঃ রানা