ছবি-ফটো ফাইল
ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ শহরের রেলস্টেশন এলাকার জুয়াড়ীদের গডফাদার বড় শাহজাহান পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে জীবন যাপন করলেও থেমে নেই জুয়ার আসর।
বড় শাহজাহানের সহযোগী মুসা ও মনিরের দম্ভোক্তি সদর থানা পুলিশকে টাকা দিয়ে জুয়ার বোর্ড চালাই। কাজেই আমাদের বিরুদ্ধে লিখে লাভ হবে না। এমনকি কিছু সাংবাদিক এখান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে থাকে।
জানা যায়, শিল্পাঞ্চল বলে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া শহরের ৩ নম্বর ঘাট এলাকায় রয়েছে মাছের বিশাল আড়ত, জেলার সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত চারারগোপে।
প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী সহ শ্রমিকরা এসে থাকে।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বড় শাহজাহানের দীর্ঘ দিনের সহযোগী চিহ্নিত জুয়ারী মুসা ও মনিরকে দিয়ে শহরের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনে প্রতিদিন জুয়ার আসরে বসিয়ে থাকে।
এ জুয়ার আসরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। এর একটি অংশ রেলওয়ের জিআরপি পুলিশ, নামধারী সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতা ভাগ নিয়ে থাকেন।
রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মী কামরুল প্রতিদিন জমি বাবদ ১২শ টাকা আদায় করে থাকে। এ টাকা তিন ভাগে বিভক্ত করে নিয়ে থাকে বলে জানা যায়। কামরুল বিভিন্ন হোটেল, ফলের দোকান, সেলুন ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে।
গত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় রেলওয়ে ও জিআরপি পুলিশের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকি ধামকি দিয়ে তটস্থ করে রাখতো কামরুল।
ঘুরে ফিরে বারবার কামরুল নারায়নগঞ্জে চলে আসে।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির আহম্মেদ এর সফল অভিযানে জুয়াড়ীদের গডফাদার বড় শাহজাহান পুলিশের হাতে আটক হলেও তার সহযোগী মুছা ও মনির রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির আহাম্মদ বলেন,আমি নিজে অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়ীদের গডফাদার বড় শাহজাহান কে আটক করেছি। খবর পাওয়া মাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়।