স্টাফ রিপোর্টার:
প্রথম রমজান থেকেই নারায়ণগঞ্জের ইফতার সামগ্রীর বাজারগুলো হয়ে উঠে জমজমাট। রমজান আসলেই প্রতিটি রেস্টুরেন্টে হরেক রকম ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন। আর ইফতারের জন্য পছন্দের খাবার কিনতে এই দোকানগুলোতে থাকে ক্রেতাদের ভীড়।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ইফতার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় এচিত্র।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থাকায় কিছুটা ইফতার বাজারগুলোতে প্রভাব পড়লেও হরেক রকম ইফতার সামগ্রী ক্রয়ে প্রতিটি দোকানেই থাকছে ক্রেতাদের ভীড়।এবার বিশেষ করে মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও পেঁয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনির মতো ভাজাপোড়া আইটেমের দাম গতবারের মতোই রয়েছে।তবে এবার ইফতার সামগ্রীর অন্য খাবারের তুলনায় হালিমের চাহিদাই একটু বেশি প্রতিটি রেস্টুরেন্টে।
এবার বিক্রির পরিমাণ নিয়েও খুশি বিক্রেতারা। রমজান শেষ হবার আগেই বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। তবে তারা জানান মাংসের দাম একটু বেশি থাকায় অন্যান্য ইফতার সামগ্রীর তুলনায় মাংস দিয়ে তৈরি ইফতারসামগ্রীর দাম বেড়েছে। সুতি কাবাব, বুটি কাবাব, খাসির লেগ রোস্ট, আস্ত মুরগির রোস্ট, তান্দুরি চিকেন, কোয়েলের রোস্ট, হালিমের মতো মাংসজাতীয় খাবারের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। অন্যদিকে পেয়াজু, আলুর চপ,ছোলা, বেগুনির দাম স্বাভাবিকই আছে।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইফতার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, শহরের বাসিন্দারা ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে মানুষ এসেছেন পছন্দের ইফতারসামগ্রী কিনতে।
তাদের একজন পুলিশলাইনের আফাজনগরের এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান এসেছেন সুগন্ধা প্লাসে। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এখানে ইফতারি কিনতে আসি। দাম কিছুটা বেশি হলেও স্বাদের জন্যই সুগন্ধার ইফতারি মিস করি না।
উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইফতারসামগ্রীর বিভিন্ন পদের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। নাম না জানিয়ে একজন বিক্রেতা বললেন, গতবছরের তুলনায় ইফতার সামগ্রী বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। তবে মাংসসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। তবে ক্রেতারা প্রতিবারের মতোই ইফতারি কিনতে আসছেন। এবার ইফতারের অন্যান্য ইফতার সামগ্রীর তুলনায় হালিমটা একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান দোকানি।
আমলাপাড়া নিবাসী হারুন মিয়া জানান, মেয়ের ইচ্ছে হালিম খাওয়ার। আর তাছাড়া আমার পরিবারের সবাই হালিম ভীষন পছন্দ করে।প্রতিদিনের ইফতার আইটেমের মধ্যে সবার হালিম লাগবেই।
উত্তর চাষাড়ার নাজমুল ইসলাম জানান, রমজান আসলেই একটু বাহারি রকম ইফতারের প্রতি একটু অন্য রকম জোক থাকেই আমাদের। আর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলোতে মুখরোচক বিভিন্ন খাবারের সারি সারি থাকে। আমার বাসায় তো সাধারণত ইফতার বানানোটা কম হয়। অধিকাংশ সময়ই কেনা হয়।হরেক রকম ইফতারের খাবার। আর রোজা রেখেই বা কত ধরনের খাবার বানানো যায়।
সুগন্ধা প্লাসে ইফতার কিনতে আসা চাষাড়ার বালুর মাঠ থেকে আসা আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রমজান আসলে সব কিছুরই একটু দাম বৃদ্ধি পায়। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর নাগালের বাহিরে থাকে ইফতার সামগ্রী কিনার। তবে আজ বাসাত মেহমান আসায় এখান থেকে ইফতার কিনতে আসছে। কিছু দাম বেশি তবে মান ভালো এইখানের ইফতারের।
এদিকে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টগুলোতে গতবারের তুলনায় এবার সাধ্যের মধ্যে ইফতারের খাবার সামগ্রী ক্রয় করতে পেরে অনেকটা সন্তুষ্ট শহরবাসী ও আশেপাশে এলাকার বাসিন্দারা।