ষ্টাফ রির্পোটার:
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি আর্দশ মার্কেট সমবায় সমিতি হতে ১ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে প্রতারক দেওয়ান হামিদুল ইসলাম সুমন। এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসআই মাজহারুল ইসলাম কে অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ নুরুল ইসলাম সভাপতি, আদর্শ মার্কেট সমবায় সমিতি, ২৯নং, নয়ামাটি,, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ, পিতা-মৃত সৈয়দ আলী বেপারী, সাং-পশ্চিম দেওভোগ, মাদ্রাসা, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদী দেওয়ান হামিদুল ইসলাম সুমন ক্যাশিয়ার, আদর্শ মার্কেট সমবায় সমিতি, ২৯নং, নয়ামাটি, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ, পিতা: নূর মোহাম্মদ দেওয়ান, মাতা-হাসিনা বেগম, সাং- কোতালের বাগ শিবু মার্কেট, জসিম কন্ট্রাক্টারের বাড়ি সংলগ্ন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ উপরোল্লিখিত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিবাদী গত প্রায় ১৬ (ষোল) বছর যাবৎ উপরোল্লিখিত আদর্শ মার্কেট সমবায় সমিতি এর ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সমিতির নিয়মানুসারে সমিতির সম্পূর্ণ টাকা বিবাদীর নিকট থাকিবে। বিবাদী দীর্ঘ দিন যাবৎ উক্ত সমিতির টাকা আত্মত্মসাতের পায়তারায় লিপ্ত হইয়াছে। গত ৩১/০৮/২০২৪ইং তারিখ উক্ত সমিতির মেয়াদ শেষ হয় এবং আমাদের সকলের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকে। কিন্তু বিবাদী সকলকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে বিবাদী সমিতির সকল সদস্যদের সাথে তালবাহানা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪/০৯/২০২৪ইং তারিখ অত্র থানাধীন নয়ামাটি এলাকা হইতে বিবাদী সমিতির প্রায় ১,০০,০০,০০০/- (এক কোটি) টাকা আতœসাৎ করিয়া এবং সমিতির সকল হিসাবের খাতা ও কাগজপত্রাদী নিয়া অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিবাদীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে বিবাদীর মোবাইল বন্ধ পাই। উক্ত বিষয়ে আমি সহ সমিতির অন্যান্য সদস্যগণ বিবাদীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করিলে বিবাদীর পরিবারের লোকজন আমাদের সাথে খারাপ আচরণ সহ হুমকি ধমকি প্রদান করে। বর্তমানে আমরা জানতে পারি বিবাদী আমাদের সমিতির টাকা আত্মসাৎ করিয়া দেশের বাহিরে যাওয়ার পায়তারায় লিপ্ত হইয়াছে। বর্তমানে বিবাদী কোথায় আছে তার কিছুই জানি না। বিবাদী সমিতির সকল সদস্যদের টাকা নিয়ে আত্মগোপনে রহিয়াছে। এমতাবস্থায় কোন উপায়ন্তর না পাইয়া আইনগত সহযোগীতা চাইয়া বিষয়টি আপনার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলাম।
ব্যবসায়ীরা বলেন,এই সমিতির ৩৮৪ জন গ্রাহক ২ বছরের জন্য প্রতিজন ৫৫ হাজার টাকা জমা করতো। কিছু টাকা লোন দিলেও ১ কোটি টাকা দিয়ে কোতালেরবাগ এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করে আসছে। অথচ সমিতির সদস্যদের টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে সমস্ত দায়ভার সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের উপর দিয়ে পলাতক রয়েছে। প্রতারক সুমন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত আগষ্ট মাসের ১ তারিখ জাপানে যাওয়ার জন্য জাপান দুতাবাসে গিয়েছিল। ভিসা না হওয়ায় যেতে পারেনি।
এ ব্যাপারে হামিদুল ইসলাম সুমন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৯২২৫৩২০@@) একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মোঃ নুরুল ইসলাম ।