বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যার দায়ে মামলা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এবার নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে শনিবার আরও একটি মামলা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে। মামলা করেছেন নিহত আবুল হাসানের বড় ভাই আবুল বাশার।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল করিমসহ এজাহারনামীয় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তার মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আবুল হাসান কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট বেলা দেড়টার দিকে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় মামলার বাদীর ভাই আবুল হাসানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অপরাপর আসামির নির্দেশে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন আবুল হাসান। সে সময় চাষাঢ়া এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন আবুল হাসান। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে তিনি মারা যান।