ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর মডেল থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পূর্ব কড়ইতলা এলাকার শিশু ধর্ষণকারী মোহাম্মদ বশিরকে আটক করা হলে জোরপূর্বক এলাকাবাসীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয় ধর্ষক বশিরের পুত্র নয়ন ও জীবন।
এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।দীর্ঘ ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক বশিরকে আটক করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১১:০০ টার সময় সৈয়দপুর পূর্ব কড়ইতলা এলাকার মৃত হেলালউদ্দিনের পুত্র বশির উদ্দিন নদীরপাড় হতে ফুসলিয়ে এনে তার মুদির দোকান ঘরের ভিতরে নিয়ে মর্জিনা আক্তার (১১) (ছদ্মনাম)কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এলাকাবাসী খবর পেয়ে ধর্ষক বশিরকে হাতে নাতে আটক করে এলাকার যুবক মনরউদ্দিন টারজান ও খোকন।
এ খবর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সহ অন্যদের দেওয়া হলে ধর্ষণের কথা শুনে তারা পুলিশকে ফোন দেয়।
সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ধর্ষক বশিরের পুত্র নয়ন ও জীবন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন মনরউদ্দিন টারজান ও খোকনের কাছ থেকে ধর্ষক বশিরকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, আল আমিন নগর এলাকার নুরজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আকবর (ছদ্মনাম) এর ১১ বছর বয়সী কন্যা মর্জিনা আক্তারকে ধর্ষনের অভিযোগে সদর মডেল থানায় বশির উদ্দিনকে আসামি করে ৯(১)২০০০ সালের ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের ১৫দিন অতিবাহিত হলেও সদর থানা পুলিশ ধর্ষক মোহাম্মদ বশির ও তার দুই পুত্র নয়ন ও জীবনকে আটক করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, পুলিশ বশিরের দুই পুত্র নয়ন ও জীবনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষক বশিরের সন্ধান পাওয়া যাবে।ধর্ষকের সহযোগী নয়ন ও জীবন বীরদর্পে এলাকায় দোকানদারী করছে।
এ ব্যাপারে মনরউদ্দিন টারজান ও খোকন আদালতে সাক্ষী দিতে রাজি আছে।
এলাকাবাসীর অতি দ্রুত ধর্ষক বশির এবং তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব ও পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানান।