ষ্টাফ রির্পোটার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর আলামিন নগরে ৪ স্বামী গ্রহনকারী স্ত্রী তমার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৪র্থ স্বামী মোঃ মামুন মিয়া।
এর আগে ২০০৩ সালের ২৮ শে এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার আবুল কালাম গাজী কে সানজিদা আক্তার ফারজানা পরিচয়ে প্রথম বিয়ে করেন।
সদর মডেল থানাধীন শাহ সুজা রোড ভুইয়াপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ভূইয়ার পুত্র হারুনুর রশিদ ভুইয়া কে সানজিদা আক্তার পরিচয় দিয়ে ২০০৭ সালের ৬ মে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
তৃতীয় বিয়ে করেন সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকার শওকত হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আলী রাজকে সানজিদা আক্তার তমা পরিচয় দিয়ে ২০১৩ সালের একুশে নভেম্বর।
২০২৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি আল আমিন নগর এলাকার সাঈদ মিয়ার পুত্র মোঃ মামুন মিয়াকে চতুর্থ বিয়ে করেন সানজিদা আক্তার তমা পরিচয়ে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তমা চারটি ি য়ে করলেও প্রত্যেকটি বিযয়েত নিজেকে কুমারী হিসাবে দাবি করেছেন।
তমার ৪র্থ স্বামী অভিযোগে উল্লেখ করেনঃ
মোঃ মামুন মিয়া, পিতা- মোঃ সাঈদ মিয়া, সাং- সৈয়দপুর আল আমিননগর, থানা ও জেলা- নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী সানজিদা আক্তার তমা, পিতা- মোঃ ফেরদৌস, মাতা- ভানু বেগম, সাং- কাশিপুর হোসাইনিনগর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, গত প্রায় ০৩ (তিন) বৎসর পূর্বে বিবাদীর সহিত পরিচয়ের সুবাদে কথা বার্তার একপর্যায় বিবাদীর সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথাবার্তার একপর্যায় জানতে পারি যে, বিবাদী বিবাহিত। তখন বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া ভুল বুঝাইয়া তাহার পূর্বের স্বামীকে তালাক প্রদান করিয়াছে মর্মে আশ্বাস দিয়া আমার সহিত প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক এবং গত ইং ২২/০২/২০২৩ তারিখ বিবাদীর সহিত ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ে পরবর্তীতে বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া তাহাদের বর্ণিত ঠিকানার বাসায় দ্বিতীয় তলায় আমাকে নিয়া সংসার করার মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করিয়া আমার প্রায় ৮লক্ষ টাকা খরচের মাধ্যমে তাহার বাসার ২য় তলার কাজ সম্পন্ন করে এবং বিবাদী বিভিন্ন সময় নানা ধরনের প্রয়োজনের কথা বলিয়া আমার নিকট হইতে সর্বমোট প্রায় ১৮লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৪লক্ষ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়া গত মার্চ’২০২৪ মাসে তাহার বাবার বাসায় চলিয়া যায়। তখন আমি জানতে পারি যে, বিবাদীর ইতোপূর্বে আরো তিনটি বিয়ে হয়েছে এবং প্রত্যেকের সহিত প্রতারনা করিয়া টাকা পয়সা আত্মসাত করিয়াছে। আমি ব্যবসায়ীক সমস্যার কারনে কিছুদিন। অন্যত্র বাহিরে অবস্থান করার জন্য বিবাদী আমার সহিত সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করিয়া দেয়। পরবর্তীতে আমি বাসায় ফিরে পর্যায়ক্রমে একাধিকবার বিবাদীর সহিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে বিবাদী আমার সহিত খারাপ আচরন সহ আমাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে এবং উক্ত বিষয়াদি সংক্রান্তে বারাবারি করিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিবাদীর অভিভাবকদের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করিলেও বিবাদী কারো কথার তোয়াক্কা করেন না। আমি সর্বশেষ গত ইং ২৬/০৮/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন সৈয়দপুর আল আমিননগরস্থ আমার বসত বাড়িতে অবস্থানকালে বিবাদী ব্যবহৃত মোবাইল ০১৩০২৬৮২৯## ও তাহার পিতার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১২৪১১৯## নাম্বারে যোগাযোগ করিলে বিবাদী মোবাইল ফোনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমার সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই বলিয়া জানায়। তখন আমি বিবাদীকে আমার সকল টাকা পয়সা ফেরত দেওয়ার কথা বলিলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া এই বলিয়া হুমকি দেয় যে, উক্ত টাকার বিষয়ে ভবিষ্যতে কোন কথা বার্তা বলিলে বিবাদী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া সহ লোকমারফতে আমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে। বিবাদী খুব খারাপ প্রকৃতির লোক, সে যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে। লোকমারফতে জানতে পারি যে, বিবাদী বর্তমানে অজ্ঞাতনামার ছেলের সহিত পরকিয়া সম্পর্কে লিপ্ত আছে এবং আমার সকল টাকা পয়সা আত্মসাত করিয়া সেই ছেলের সহিত মালেশিয়ায় চলিয়া যাওয়ার পায়তারা করিতেছে। এমতাবস্থায় নিরুপায় হইয়া প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তার জন্য বিষয়টি আপনার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলাম।
মামুন মিয়া আরো বলেন,তমা বিভিন্ন ছেলেদের সাথে চ্যাট করে তাদের ফাঁদে ফেলে নানান সুবিধা নিতো। চ্যাট করার কিছু ডকুমেন্টস আমি সংগ্রহ করে রেখেছি। বর্তমানে শাহজালাল অভি নামে মুন্সিগঞ্জের আরেক ছেলের সাথে বিবাহ বহিভূর্ত অবৈধ সম্পর্ক তৈরী করে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। তমা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগের কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মামুন মিয়া।