ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। এর আগে আজ ভোরে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জামশেদ শেখ (৩৬) প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক।
এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, আজ ভোরে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ত্বকী হত্যার সঙ্গে তার সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে।
এর আগে গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ত্বকী হত্যার ঘটনায় শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদার নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে দেয় র্যাব।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে।
এরপর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন কুমুদিনী খাল থেকে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রফিউর রাব্বী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে ১৮ মার্চ রাতে রাব্বি হত্যার ঘটনায় শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম ভূইয়া পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাত বিন ওসমান এর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের কাছে অবগতি পত্র দেয়।
ত্বকী হত্যার ঘটনায় র্যাব উসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ইউসুফ হোসেন লিটন প্রথম ত্বকী মামলায় আদালতে জবানবন্দিতে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেন। তিনি জবানবন্দিতে সালেহ রহমান সীমান্ত জামতলা ধোপাপট্টির বাড়িতে সংঘটিত হত্যার সবকিছুর বর্ণনা দেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিলেন, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান।
২০১৪ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই নারায়ণগঞ্জ ও পরে দেশত্যাগ করেন ভ্রমর। তিনি এখরো দেশের বাইরে রয়েছেন। আদালত ইতিমধ্যে ভ্রমরের বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রেখেছে।