নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাবাসী তিতাস গ্যাসের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে। প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী এমন অবরোধ হাজার হাজার যাত্রী চর ভোগান্তির মধ্যে পরেন।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের মৌচাক ইউটার্ন এর সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন নারী পুরুষসহ সকল বয়সের ভূক্তভোগিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, অবরোধকালে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে অবস্থান নেয়। এসময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জনতা সড়কে উঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গ্যাসের দাবীতে অবরোধে অংশ নেয়া আবদুস সালাম বলেন, আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবত গ্যাস পাই না। ফলে ঠিকমতো রান্নাবান্না করতে পারি না। রাত তিনটায় গ্যাস আসে আবার চারটায় চলে যায়। তিতাস গ্যাস অফিসের বিভিন্ন দপ্তরে বহু অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি।
সুলতান উদ্দিন নামের এক প্রবীণ বলেন, ‘আমরা কি স্বাদে এই রোদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি ? আমরা যারা এখানে দাঁড়িয়ে গ্যাসের জন্য আন্দোলন করছি এখানে সকলেই গ্যাসের বৈধ সংযোগকারী। প্রতি মাসে আমরা বিল দিলেও গ্যাস পাইনা অথচ অবৈধ লাখ লাখ গ্রাহক তিতাসের অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে গ্যাস পাচ্ছে এই সিদ্ধিরগঞ্জেই ৷ বিভিন্ন কয়েল, চুনা ফ্যাক্টরিসহ কল কারখানায় অবৈধ গ্যাস দিয়ে দূর্ণীতির রাম রাজত্ব চালাচ্ছে । আর আমরা ভোগান্তি সহ্য করেই যাচ্ছি। ‘
অবরোধে আসা গৃহবধু রাজিয়া বলেন, ‘আশে পাশের সব জায়গায় গ্যাস থাকলেও আমাদের এখানে গ্যাস থাকে না। তিতাস কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা শুধু বলেন, দেখতাছি দেখতাছি। কিন্তু কিছুই দেখেন না তারা।’ অথচ গ্যাসের বিল ঠিক ই দিতে হচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন বলেন, ওই এলাকায় গ্যাস না থাকায় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। অবরোধকারীদের মধ্যকার ৩-৪ জন ডিসি অফিস গেছেন আর বাকিরা চলে গেছেন।