Views: 11
ষ্টাফ রির্পোটার:
সারাদেশে গণ মানুষের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান না থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চিহ্নিত অপরাধীরা। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় তাদের নামে জমি, দোকান ও মার্কেট দখল, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি এবং হামলাসহ নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নব্য এ সন্ত্রাসীরা দখল ও চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। এমনই অভিযোগ বিভিন্ন সিদ্ধিরগঞ্জের সাধারণ বাসিন্দাদের।
তাঁদের অভিযোগ আদমজী নতুন বাজার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ দেড় ডজনের বেশি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মজুমদার ও আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আদমজী নতুন বাজার এলাকার পক্ষী মজিবরের পুত্র মাদকের ডিলার নাহিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এদের ভয়ে রাস্তায় চলাচলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গার্মেন্টসগামী নারী শ্রমিকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু না হওয়ায় মানুষ এদের আতঙ্কে দিনপাড় করছে। সিদ্ধিরগঞ্জ বাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকাজুড়ে তাদের অপকর্মের কোন শেষ ছিল না। আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাদের শেল্টারে কিশোরগ্যাং দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ানোর অভিযোগ নাহিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে। একাধিকবার মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাহিদ ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করলেও তাঁকে দমানো সম্ভব হয়নি। এর আগে নাহিদকে গ্রেফতার করলে পুলিশের হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরে অসাধু কিছু পুলিশকে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে এলাকায় ফিরে ফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত সে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অভিযান না থাকায় বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টারে এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নাসিকের ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দোকানপাট দখল সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে নাহিদ বাহিনী। কেউ প্রতিবাদ করলে দেয়া হচ্ছে হত্যা ও গুম করে ফেলার হুমকি। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। সন্ত্রাসী নাহিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার অভিযোগে মামলা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্রশস্ত্র লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। তার গোপন টর্চারসেল গুলোতে অভিযান চালালে এসব অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হবে বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জবাসী।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী সেলিম মজুমদার ও নাহিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পূর্বক খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে তাদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেয়া হোক। সেনাবাহিনী অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে মহল্লার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবে তারা কতোটা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।