নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়াউর রহমান (৩৫) নামের এক হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সানারপাড় রহিম মার্কেট বটতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনদের অভিযোগ, আর্থিক লেনদেনের জেরে তাঁর বন্ধু হিজবুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।
জিয়াউর রহমান গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড়কান্দি গ্রামে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর এক ছেলে ও মেয়েসন্তান আছে।
অন্যদিকে তাৎক্ষণিকভাবে হিজবুলের ঠিকানা জানা যায়নি। তবে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখানে নিয়মিত আসা-যাওয়ার সুবাদে জিয়াউরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বলে দাবি পরিবারের।
হত্যাকাণ্ডের সময় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ছিলেন রাজীব নামের তাঁর এক বন্ধু। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে জিয়াউলসহ তাঁরা কয়েকজন বন্ধু লুডু খেলছিলেন। হঠাৎ করে হিজবুল সেখানে এসে জিয়াউরের কাছে ধারের টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হিজবুল তাঁদের সঙ্গে চা-নাশতা খেয়ে চলে যান। এর কিছু সময় পর হিজবুল আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে আবার উপস্থিত হন। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে এ সময় জিয়াউলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ওই দুজন। একপর্যায়ে হিজবুল তাঁর হাতে থাকা পলিথিনে মোড়ানো একটি চাপাতি বের করেন। এটি দেখে জিয়াউর দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাঁর মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আশঙ্কজনক অবস্থায় জিয়াউরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ও জিয়াউরের বন্ধু রাজীব বলেন, ঘটনার দিন বিকেল থেকে কাদের নামের আরেক ব্যক্তি জিয়াউরের সঙ্গে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনিও পলাতক আছেন। পলাতক কাদেরসহ অভিযুক্ত হিজবুরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নিহতের স্বজনেরা।
আর্থিক লেনদেনের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।