সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকায় কিশোরগ্যাং লিডার ও আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট নাহিদের চাঁদাবাজি ও মাদক সিন্ডিকেটের ভয়াবহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন ল্যাংড়া গাজী ওরফে লোহাচোর আরশাদ গাজী। নাহিদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার আতঙ্কে পলাতক থাকায় ল্যাংড়া গাজীর নেতৃত্বে এএলাকায় দিনরাত বিক্রি হচ্ছে মাদক ও প্রতি শুক্রবার নাগিনা জোহা সড়কের ভাসমান দোকানগুলো থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে চাঁদাবাজি। শুক্রবার এসব ভাসমান প্রতিটি দোকান থেকে ১৫০-২০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে গাজী ও যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান মৃধার নেতৃত্বে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে করা হচ্ছে বেড়ধক মারধর। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না জানাতে দেয়া হচ্ছে হুমকি ধামকি। এলাকাবাসীর অভিযোগ এক সময়ের আওয়ামী লীগের সহযোগী লোহাচোর ল্যাংড়া গাজী কখনও নিজেকে পরিচয় দেন গিয়াসউদ্দিন পন্থী বিএনপি নেতা হিসেবে আবার কখনও পরিচয় দেন মামুন মাহমুদ পন্থী বিএনপি নেতা হিসেবে। সুযোগ বুঝে তিনি একেক সময় ভোল পাল্টে চলেন। গত শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রেলওয়ের লোহাচোর আরশাদ গাজীর সহযোগী নতুন বাজার এলাকার পক্ষী মজিবুরের পুত্র কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদের ভাই চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রাব্বিকে গ্রেপ্তার হয়। ঐদিন
সন্ধ্যায় আদমজী নতুন বাজার এলাকায় ভাসমান দোকান থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজীকালে মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ রাব্বিকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। রাব্বি গ্রেফতারের খবরে কিছুদিন গাঁ ডাকা দিয়েছিলেন মাদক ও চাঁদাবাজদের শেল্টারদাতা লোহাচোর ল্যাংড়া গাজী। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় অভিযান না থাকায় এলাকায় ফিরে ফের শুরু করেছেন ব্যাপক চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা।
এলাকাবাসী জানায়, ল্যাংড়া গাজী ও নাহিদ বিহারী ক্যাম্প ও নতুন বাজার এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করে তুলে। তার রয়েছে মাদক বিক্রির করার কয়েকটি বাহিনী এর মধ্যে রয়েছে কাল্লু, ফেকু, উকিল, আল-আমিন, ছনুসহ ১০ থেকে ১৫ জন। এসব বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে নাহিদ। এদের দিয়ে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও চাদাঁবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।আদমজী নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ীবৃন্দ জানান, রেলওয়ের লোহাচোর ল্যাংড়া আরশাদ গাজী কখনও এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মতি ভাই আবার কখনও সিরাজ মন্ডলের সাথে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছেন। আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। গত ০৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের লোক বনে যান। গিয়াস উদ্দিন কে বিএনপি থেকে সভাপতি পদ থেকে পদচ্যুত করা হলে বর্তমানে সুকৌশলে মামুন মাহমুদ শিবিরে যোগ দিয়ে বিএনপির সাইনবোর্ডে কিশোরগ্যাং লিডার নাহিদ-রাব্বিসহ অপরাধীদের দিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন আরশাদ গাজী। আমরা ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারি না। কিছুদিন পূর্বে আমাদের থেকে জোরপূর্বক ভিডিও স্বাক্ষ্য নিয়েছেন। কখনও তিনি থানার ওসি সহ র্যাব কর্মকর্তারা তার পকেটে এসব পরিচয় বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করেন। প্রতি শুক্রবার ল্যাংড়া গাজী নাহিদের লোকজন দিয়ে ভাসমান দোকান থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা উত্তোলন করেন। নাহিদের ভয়ে সকল ব্যবসায়ীরা ল্যাংড়া গাজীকে চাঁদা দিয়ে দেন। তাঁদের দাবি নাহিদ ও ল্যাংড়া গাজীকে গ্রেপ্তার করে বিচারে মুখোমুখি করার দরকার।