সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি নির্বাচনী বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত বুধবার আমার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং গতকাল উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সে মানববন্ধনে আমাকে নিয়ে নানা অশালীন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন অভিযোগ ও মানববন্ধনে এমপি মহোদয়ের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ আন হয়েছে। যা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি নাকি সোনারগাঁয়ের এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে ভোটের বেপারি বলেছি। আমি ভোটের বেপারি বলেছি যারা গ্রামের মাতবর সেজে প্রার্থীদের কাছে ভোট বিক্রি করতে আসে তাদের। অথচ কিছু কুচক্রীমহল এমপি সাহেবকে ত্যাগী নেতৃত্বশূন্য করার পায়তারা মাত্র।
সোনারগাঁয়ের এমপি আমার প্রিয় নেতা আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাতকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বক্তব্য দিয়েছি। বক্তব্যের লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবিুকে আছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি যারা এমপি মহোদয়কে মাইনাস করে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিল তারা নতুন কোন ষড়যন্ত্র সফল করতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এটা শুধু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয় এটা এমপি মহোদয়কে ত্যাগী ও দুঃসময়ের পরিক্ষীত নেতৃত্ব শূন্য করার কুটকৌশলের অংশ মাত্র। ভবিষতে যাতে বলতে পারে হাসনাত পরিবারের জন্য রক্ত ও ঘাম ঝড়ানো ত্যাগী নেতা গাজী মুজিবুর রহমান কি পেয়েছে, কি পেয়ছে রফিকুল ইসলাম নান্নু, মাহফুজুর রহমান কালাম সহ নিরবে কান্নারত ত্যাগী নেতাকর্মীরা ।
তিনি বলেন, এ বিভেদ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৪০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়া পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা মাহফুজুর রহমানের ঘোড়া প্রতিকের ভোট চাওয়াই আমার অপরাধ। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে জেল, জুলুম ও নির্যাতিত একজন ত্যাগী নেতার পাশে থাকা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। কারন আমিও ৪০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি করছি।
সবশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে এবং বিগত দিনের জ্ঞাত, অজ্ঞাত সকল ভুলভ্রান্তির জন্য সকলের নিকট আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।