হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন,শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। তাকে ধরে আনতে হবে। সকল হত্যা ও গণহত্যাকান্ডের বিচার আদায় করতে হবে। আমরা বলেছিলাম ভাস্কর্য করার দরকার নেই, আপনার পিতাকে আর জাতির সামনে অপমানিত করবেন না। একথা বলায় আমাকে গ্রেপ্তার করলেন,জাতীয় সংসদে আমাকে নিয়ে আক্রমণ করলেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লেলিয়ে দিলেন। আমাদের কথা সেদিন মানলে আজ সারা দেশে এ লাঞ্ছনা তাদের বরণ করতে হত না।
বুধবার নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাঁহ মাঠে খেলাফত মসলিস সোনারগাঁ শাখার আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, যাদের অত্যাচার, অবিচার অতিরিক্ত ছিল তাদের জন্য আল্লাহর রাসূল বলেছেন কোন ক্ষমা নেই। সোনারগাঁয়ে শত শত মানুষের ওপর নিপীড়নের জন্য চিহ্নিত কিছু মানুষ দায়ী। তাদের তালিকা করে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
এদেশের মানুষের সাথে কাজ করতে হলে তাদের হৃদয়ের আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করে হয়ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সংগ্রাম জুলাই থেকে শুরু হল। আগষ্টে এসে এটা সফলতায় পরিনত হল। কিন্তু এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ সংগ্রামে অনেক ভাইয়ের রক্ত রয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ২০২১ সালে মোদীর মত নরঘাতককে নিয়ে হেফাজত প্রতিবাদ জানিয়েছিল এই অপরাধে পাখির মত গুলি করে আমাদের ভাইদের
হত্যা করেছিল। ২০২৪ নির্বাচনেও দেখেছেন গোটা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দিল্লির সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছিল।
বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জালিম সরকার আখ্যায়িত করে তিনি বলেন,শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, দিল্লিতে বসে কেউ যদি স্বপ্ন দেখে শাহজালালের বাংলাদেশকে নরেন্দ্র মোদিদের স্বার্থের বলি বানাবে। আমরা বলতে চাই রক্ত দিয়ে যেভাবে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ার পরেও ফ্যাসিবাদের জায়গা বাংলাদেশে হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ কখনও ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।
সভায় খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সংগঠনটির সোনারগাঁ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।