মতির অপরাধ যেন বলে বা লিখে শেষ করা খুব কঠিন ! কত অপরাধ যে এই মতি করে যাচ্ছে তার হিসাব সে নিজেই ভুলে গেছে। কোন অপরাধ এই মতি করে নাই বা করছে না । শাসক দলের নাম ব্যবহার করে এবং শাসক দলের নেতাদের নিয়মিত চুরি, প্রতারণা, লুটপাট, ভূমিদস্যূতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কখনো রাইফেল ক্লাবে আবার কখনো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে, কখনো আদালত প্রাঙ্গণের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দপ্তরে পুরাতন নোটের বান্ডিলের বস্তায় বস্তায় টাকা পৌঁছে দিয়ে নিজের সাম্রাজ্য অঁটুট রেখে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশী সময় একক আধিপত্য বিরাজ করেই যাচ্ছিলো মতি। অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে ওই কর্তা আর নেতাদের তুষ্ট করার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের অনেক উচ্ছিষ্ঠভোগী বিশেষ পেশার নামধারীদের নামেও ‘বিশেষ খাম’ পাঠিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করতেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মহাধূর্ত কাউন্সিলর মতি। আর এই অপরাধের সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পরে ৫ আগষ্ট ২০২৪।
আওয়ামীলীগের সরকার তথা শেষ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ করার পর নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব জ্বালিয়ে অঙ্গার করে দেয়ার পাশাপাশি আদালত চত্তরের দূর্ণীতিরাজদের আখড়া হিসিবে পরিচিত অনেক কর্মকর্তা পালিয়ে যান। একই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের তেলচুরিসহ নানা অপরাধের হোতা কাউন্সিলর মতিসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জনরোশে হামলা ভাঙচুরের পর পালিয়ে যায়। কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকার পর আবারো এলাকাতে ফিরে এসেছে সিদ্ধিরগঞ্জের বহুল আলোচিত সমালোচিত কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি। সবশেষ ১২ আগস্ট তিনি এলাকাতে এসে মহড়া দিয়ে যান।
সাম্প্রতিক সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ছাত্রীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে এ মতির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে তিনি এক সময়ে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে সারাদেশেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে গত ৫ আগস্ট থেকে নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতি পলাতক থাকলেও গত ১২ আগস্ট তাকে নিজ এলাকায় দেখা যায়। এদিন বিকেলে আশরাফ, যুবলীগ নেতা মানিক মাস্টারসহ আরও কয়েকজন অনুসারী নিয়ে কাউন্সিলর মতি এলাকায় মহড়া দেন।
এসময় ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় কাউন্সিলর মতিকে। তবে বর্তমানে তিনি এলাকায় না থাকলেও এদিন দেড় ঘণ্টা নিজ এলাকায় অবস্থান করেন বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা অকিল উদ্দিন ভূইয়াসহ আরও কয়েকজন বিএনপির নেতার সান্নিধ্যে থাকার কারণে কাউন্সিলর মতির এলাকায় ফেরা নিয়ে কোনো চিন্তা কাজ করছে না। বরং আগামী ১৫ আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষ্যে নিজ এলাকায় কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা নিয়েই তিনি এলাকায় এসেছিলেন।
এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছে। কেননা তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি শামীম ওসমানের বড় ডোনার হিসেবে পরিচিত।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি আদমজী ইপিজেড দখল করে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। তার অনুসারীরাও অল্প দিনেই কোটিপতির বনে যান। এর আগে গত বছর তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়া রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের আশেপাশেই অবস্থান করছেন কয়েকটি সূত্রে এমনটাই জানা যায়। ৬নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাদের সবুজ সংকেত পেলেই তিনি পুরোদমে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করবেন।
এর আগে এই ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদের অনুসারী। তাদের সঙ্গে পূর্বে থেকেই কাউন্সিলর মতির সুসম্পর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কাউন্সিলর মতি বিএনপি নেতাকর্মীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছিলেন। এর ফলশ্রুতিতেই সর্বশেষ মাহে রমজানে যেখানে গিয়াসউদ্দিন কোথাও কোনো ইফতার কর্মসূচি পালন করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না সেখানে ওকিলউদ্দিন ভূইয়া ৬নং ওয়ার্ডে বিশাল ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে সিদ্ধিরগঞ্জে তাক লাগিয়ে দেন। একমাত্র কাউন্সিলর মতির সহযোগিতা বাদে এটি কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না তখন। এ কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের পরোক্ষ সমর্থন পাচ্ছেন কাউন্সিলর মতি।
এদিকে কাউন্সিলর মতির পলাতকের তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কার্যালয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো হামলা, ভাঙচুর করেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলর মতি এবং এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা পরস্পরকে মেইনটেইন করেই চলে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও আগের ন্যায় সিদ্ধিরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করবেন দুদকের এই আসামি।
এর আগে মতিউর রহমান (মতি) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে মামলায় কাউন্সিলর মতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে তিনি প্রভাবশালী এক এমপির ছত্রছায়ায় থাকায় মাসখানেক পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখালিখির কারণে চাপ সৃষ্টি হলে কোর্টে গিয়ে আত্মসমার্পন করতে বাধ্য হোন কাউন্সিলর মতি। জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা দুটি করেন। প্রথম মামলায় কাউন্সিলর মো. মতিউর রহমানের (মতি) বিরুদ্ধে ৬ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাংকে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৪২৪ টাকা জমা করে পরবর্তী সময়ে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৯ টাকা উত্তোলন, স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় কাউন্সিলর মতির স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৫ টাকা জমা এবং সেখান থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৮ টাকা উত্তোলন, হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি মামলাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারায় করা হয়েছে। গত বছরের জুনে কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শ্রমিক তেলচোর থেকে গডফাদার
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আইলপাড়া মো, বাদশা মিয়ার পুত্র এলাকার মতিউর রহমান মতি আদমজী পাট কারখানায় একজন সাধারণ শ্রমিক ছিলেন। সে সময়ে আদমজীতে একক কর্তৃত্ব ছিল আওয়ামীলীগের শ্রমিক নেতা রেহান উদ্দিন রেহান ও তার বাহিনীর। ১৯৮৯ সালে আদমজীর আলোচিত শিল্পপতি ও চলচিত্র ব্যবসায়ী সফর আলীর ভূইয়ার হাত ধরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয় মতি। মতির এ প্রভাব বিস্তার রেহান গ্রুপের সঙ্গে মতির নিয়মিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রেহানের হাত ধরেই আওয়ামীলীগে যোগ দেয় মতি।
১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় সরকারী ত্রাণ দেওয়ার দায়িত্ব পায় মতি, জাফর ও রেহানের স্ত্রী সুফিয়া রেহান। রাতারাতি মতির ভাগ্য বদলে যায়। সেসময়ে থানা যুবলীগের আহবায়ক পদ নিয়ে অপর দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে নিহত জাফরের সঙ্গে মতির বিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে মতিকে আহবায়ক ও জাফরকে দেওয়া হয় আদমজী নগর যুবলীগের সহ-সভাপতির পদ। ২০০১ সালের নির্বাচনের আওয়ামীলীগের ভরাডুবির পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয় মতি। সেখান থেকে চলে যায় দুবাই। পরে প্রায় দুই বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করেন। এরই মধ্যে আদমজীর কদমতলী এলাকায় আদমজীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যুবলীগ ক্যাডার রগ কাটা জাফর র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১ ডজন মামলা ছিল।
২০০৭ সালের ১৩ মার্চ ইন্টারপোল মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। ইন্টারপোল তাদের ওয়েব সাইটে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের অভিযোগ তুলে। ওয়েব সাইটে তার সম্পর্কে বিবরণ দিতে গিয়ে জন্ম ১ জুলাই ১৯৭৭ সেই মতে তার বয়স ২৯ বছর, উচ্চতা ১.৭০ মিটার বা ৬৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫৪ পাউন্ড বা ৭০ কেজি উল্লেখ করা হয়। ২০১১ সালে ওই ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।দীর্ঘ আট বছর পলাতক থাকার ২০০৯ সালের জুনে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পন করেন ওই সময়ের ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্টভুক্ত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও থানা যুবলীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতি। মতির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তিনটি হত্যা সহ ২০টি ও বিভিন্ন মামলায় আরো ৭-৮টি মামলা ছিল। বেশীরভাগ মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। দীর্ঘ আট বছর ধরে মতি ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দুবাই পলাতক ছিলেন মতি।
আলোচিত ৭ খুনের পর ২০১৪ সালের ১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক ছিল মতি। কয়েকমাস পরে এলাকায় ফিরে সে দখল করে নেয় আদমজী ইপিজেড সহ নানা সেক্টর। ৭ খুনের শুরুতে মজিবুর ও মতির বিরুদ্ধেও নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের পরিবার অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও পরবর্তীতে তারা প্রভাবশালী মহলের চাপে আর অভিযোগ করেনি। এর আগেও মতির বিরুদ্ধে উঠেছিল নানা অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতির পদে থাকা যুবলীগ নেতা মতির বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জে ৬ নং ওয়ার্ড (এসও রোড) এলাকার ৫ পরিবারের জমিতে নিজের ও তানজিল হোসেন নামে সাইনবোর্ড টানানো হয়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪ জন ভয়ে মুখ না খুললেও স্বপন নামের এক ব্যক্তি মতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকার নিকট হতে ৭৯৫০ বর্গফুট জমি লিজ এবং তার পাশেই আড়াই শতাংশ জমি মোস্তফা কামালের কাছ থেকে স্বপন ক্রয় করে। এরই মধ্যে মতি তার জমিতে সাইনবোর্ড সেটে দেয়। মতি আমজাদ ভূইয়া, কোহিনুর বেগমসহ বেশ কয়েকজনের জায়গায় নিজের নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে জমির মালিক বলে দাবি করছে। এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জে মতিউর রহমান মতির প্রাইভেট কারের চাপায় স্কুল ছাত্র সীমান্ত (১০) নিহত হয়। মতি এলাকাতে প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এলাকাবাসী গাড়িটি আটক করে পুলিশে দেওয়ার সাহস করেনি।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, বিশাল তেল চুরিসহ সিদ্ধিরগঞ্জের সকল অপরাধ সাম্রাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকার যে বস্তা পাঠানো হতো রাইফেল ক্লাব আর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সেই বস্তা এখন পাঠানো হবে বিএনপির কয়েকজন নেতা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাদের কাছে। কর্তা ও নেতাদের সাথে এমন চুক্তির পর এমন মহড়া দিয়েছেন মতি আশরাফ।
সরকার পবিবর্তনের পরও দূর্ধর্ষ এই মতি নতুন সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীকে সেই পুরানো কায়দায় ম্যানেজ করেই সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছে দৌড়ঝাঁপ। এরই মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সেই দূর্ণীতিবাজ কর্তাদের গ্রীন সিগনাল ও বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টারেই মতি তার একক সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতেই চালাচ্ছে নতুন ছক তৈরী করেছে মতি।
সুত্র: নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট