সোনারগাঁওয়ে যুবলীগের সাবেক নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব – ১১’র সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া বাজার এলাকা থেকে সাদা পোশাকে র্যাবের একটি দল ফতুল্লা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলতি বছরের ১৯ আগষ্ট নিহত পারভেজ হত্যা মামলায় ১৬১ নাম্বারীয় অভিযুক্ত হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, স্বপনকে গ্রেফতারের বিষয়টিকে সোনারগাঁও থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম এবং এস আই সাধন বসাকের ক্ষমতার অপব্যবহার হিসাবেই দেখছেন গ্রেফতার হওয়া জাহিদুল ইসলাম স্বপনের আইনজিবী ও পরিবারের সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া স্বপনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, জমি সংক্রান্ত একটি ঝামেলা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে আমার স্বামীসহ তিনজনকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর রাতে সোনারগাঁও থানার তৎকালীণ ওসি মোর্শেদ আলমের নির্দেশে এস আই সাধন বসাক ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। পরে ১০ অক্টোবর ওসি এবং এস আইয়ের ওই কর্মকান্ডের বিষয়ে অভিযোগ করে। আদালত সাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পেলে ওসি মোর্শেদ ও সাধন বসাককে সাময়িক বরখাস্ত করে। তারপর ওসি এবং এস আই স্বপনকে সুযোগ মতো সারাদেশে শতাধিক মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। ফতুল্লা থানায় কুতুবপুরের মাহমুদপুর এলাকার আজমত আলীর ছেলে সোহরাব মিয়া বাদি হয়ে যে হত্যা মামলা করেছেন, আমার স্বামীকে সে মামলায় ওসি মোর্শেদ আলম ও এস আই সাধন বসাকের ইন্ধনে জড়ানো হয়েছে বলে জানান। তিনি তার স্বামীর দ্রুত মুক্তি চান।
জাহিদুল ইসলাম স্বপনের আইনজীবি খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সদর্পণ সোনারগাঁও দর্পণকে বলেন, ২০১৮ সালে তৎকালীণ সরকারের সময়ের এক প্রভাবশালী ওসি মোর্শেদ আলম ও এস আই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ স্বপনকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করে। এমন কি আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে স্বপনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করে। তারপর থেকে স্বপন কোন দিন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়নি। অথচ, তাকে একটি হত্যা মালায় যুবলীগের কর্মী হিসাবে মামলায় অন্তভুক্ত করেছে, যা রীতি মতো হাস্যকর। তবে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আইনিভাবেই এ বিষটিয় দেখব। তবে, এ মামলায় স্বপনকে জড়ানোর পিছনে সোনারগাঁও থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম ও এস আই সাধন বসাকের হাত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
স্বপন র্যাবের হাতে আটক হওয়ার স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁয়ের সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম এবং এস আই সাধন বসাকের ক্ষমতার অপব্যবহার এর কারনে নিযাতনের শিকার হয়ে আটক হয়েছিলো স্বপন। যে লোকটির জন্য সোনারগাঁ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীরা মাঠে নেমে তার মুক্তি ও ন্যায় বিচারের দাবীতে আন্দোলন করেছে সেই ব্যক্তি কিভাবে ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালায় তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। স্বপন ভাই যে চক্রান্তের শিকার হয়েছেন এ মামলার মাধ্যমে বহি:প্রকাশ হলো।