জাগো নারায়ণগঞ্জ
সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীবরদী দড়িপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী অহিদ বাহিনীর হামলায় করিম,শান্তা,নারগিস রক্তাক্ত জখম হয়েছে।গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে আহতদের রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে এমদাদুল হক বাদী হয়ে অহিদ কে প্রধান বিবাদী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ এমদাদুল হক পিতা মোঃ আঃ করিম, সাং লক্ষীবরদী দড়িপাড়া, ইউপি-নোয়াগাঁও, থানা-সোনারগাঁ, জেলা- নারায়নগঞ্জ অত্র থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ আঃ অহিদ, পিতা-মৃতঃ আঃ হেকিম, ২। মোসাঃ রিমা আক্তার স্বামী মোঃ ওবায়দুল্লাহ, ৩। মোঃ আরিফ, পিতা-মোঃ ওবায়দুল্লাহ, ৪। মোসাঃ মুন্নি ও ৫।মোসাঃ ইরানী বেগম স্বামী মোঃ আঃ অহিদ,৬। ওবায়দুল্লাহ পিতা আব্দুল করিম জেলা- নারায়নগঞ্জ বিবাদীরা সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলিতেছে। বিবাদীরা প্রায়ই আমাদের পরিবারবর্গকে ভয়ভীতি সহ হুমকী দিয়া আমাদের উপর অত্যাচার করে আসিতেছে। বিবাদীরা আমার বোন কে গালমন্দ করে মাকে ও আমার পরিবারবর্গকে মারপিট করিয়া খুন জখম করিবে বলিয়া ভয়ভীতি দিয়া আসিতেছে। অদ্য ইং ০৫/০৬/২০২৪ তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাহাদের হাতে থাকা চাপাতি, লোহার রড, লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া বেআইনী জনতাবন্ধে আমার বসত বাড়ীর সীমানার ভিতর অনধিকার প্রবেশ করিয়া ৬ নং বিবাদীর হুকুমের উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার বসত বাড়ীর দরজা জানালা ও বিভিন্ন আসবাব পত্র সহ পন্য সামগ্রী ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন করে। যার ক্ষতির মূল্য- ৪০,০০০/-টাকা। আমি, আমার বাবা মোঃ আঃ করিম (৯০), আমার স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম জাহান শান্তা (১৯) ও আমার বোন মোসাঃ নারগিস আক্তার (৩৯) তাহাদের ভাংচুর করিতে বাধা নিষেধ করিলে উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের এলোপতারী মারপিট করিয়া আমাদের সকলের হাতে, পায়ে, পিঠে, মাথায় ও মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাবার মাথায় কোপ মারে। আমার বাবা হাত দিয়া ঠেকাইলে আমার বাবার বাম হাত কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া কোপ মারিয়া আমার স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম জাহানা শান্তার কপালে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৩নং বিবাদী আমার স্ত্রীর পরিহিত জামা কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতহানি করে এবং আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়া যায়। যার মূল্য-৪৫,০০০/-টাকা। ৪নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আঘাত করিয়া আমার বাম গাল ও ঠোঁঠ ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। ১নং বিবাদী আমার সাথে থাকা নগদ ১০,০০০/-টাকা নিয়া যায়। আমাদের ডাক চিৎকার শুনিযা আশেপাশের লোকজন আসিয়া ঠেকাইলে বিবাদীরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাহারা আমাদেরকে এলাকায় শান্তিতে বসবাস করিতে দিবেনা বলিয়া ভয়ভীতি সহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয় স্বজনদের সহযোগীতায় আমি সহ সকল জখমীরা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়া চিকিৎসা গ্রহন করি। আমার স্ত্রী ও আমার বাবার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহারা উক্ত হাসপাতালে ভর্তি হইয়া চিকিৎসাধীন আছে।
উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমদাদুল হক।