নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে যুবককে গুলি করে আহত করার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে দুইটি মামলা করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ও বিকেলে সোনারগাঁও থানায় এ মামলা দুটি রুজু করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও ৩২০ জনের নাম উল্লেখ ও ২৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, শেখ রেহেনা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসরাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, স্থানীয় সাংবাদিক।
এছাড়া এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ নিরীহ জনসাধারণকেও আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারী দুইটি মামলা হওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিদের কোন হয়রানি করা হবে না।
মামলার বাদী সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৯) এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ২০ জুলাই কাঁচপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাদীকে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করে। অন্যদিকে জামপুর ইউনিয়নের উটমা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৪০) এজাহারে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে গত ১৯ জুলাই কাঁচপুরে গুলি করে আহত করে।
তবে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এসব মামলায় এবার সাংবাদিক,ডাক্তারসহ নিরীহ জনগণকেও আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও উপজেলার স্থানীয় ৪ জন সাংবাদিককে মামলায় জড়ানো হলে সাংবাদিকরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে সোনারগাঁ থানায় দায়ের হওয়া মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক দাবী করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান স্থানীয় সকল সাংবাদিক।