নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশের বিচক্ষণতায় নিখোঁজ হওয়া স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিশোর দুই সহোদর রাফি (১৪) ও রাফাতকে (১২) অবশেষে ৪৫ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁও থানার পুলিশের এসআই মো. ইমরান হোসেন জানান, গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী দুই সহোদর স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় তারা।
পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজে না পেয়ে পরদিন তাদের বাবা মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় পৃথকভাবে সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে পুলিশ ব্যাপক তদন্তে মাঠে নামার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে নিখোঁজ দুই সহোদররা তাদের প্রকৃত বাবা আব্দুস সালামের বাড়িতে অবস্থান করছে। পরে এসআই মো. ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে গত বুধবার দিবাগত রাতে নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানার পাহাড়ি এলাকা বুহাপুর গ্রাম থেকে দুই ভাই রাফি ও রাফাতকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশের হাতে উদ্ধারকৃত রাফি ও রাফাতকে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
উল্লেখ, গত ১৪ জুন ‘নিখোঁজ দুই সন্তানকে খুঁজে পেতে মায়ের আকুতি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয় ডিবিসি নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনের পর নিখোঁজ রাফি ও রাফাতের ছবি প্রেরণ করা হয় দেশের সকল থানায় পুলিশ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ‘খ’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রাফি তিন বছর ও তার ভাই রাফাতের এক বছর বয়সের সময় তাদের মা আঁখি আক্তারের সঙ্গে তাদের প্রকৃত বাবা আব্দুস সালামের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে তাদের মা আঁখি আক্তারের কথিত বাবা মো. ইউসুফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। এদিকে পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে কথিত বাবার ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামে প্রকৃত বাবা আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় নিখোঁজ দুই ভাই। তবে তদন্ত চলাকালীন সময়ে এ বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি রাফি ও রাফাতের প্রকৃত মা আঁখি আক্তার ও কথিত বাবা মো. ইউসুফ মিয়া।