সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা একটি ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওঃ মামুনুল হক।
নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’র সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামুনুল হকের উপস্থিতিতে তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করে বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়,জান্নাত আরা ঝর্না নামের এক নারী বাদী হয়ে গত ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মাওঃ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ঐবছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য,গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট নামের একটি আবাসিক হোটেলের ৫০১ নাম্বার রুমে নিজের স্ত্রী আমেনা তৈয়বা পরিচয় দিয়ে জান্নাত আরা ঝর্না নামের অন্য এক নারীকে নিয়ে অবকাশ যাপনের জন্য উঠেন। স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য নারী নিয়ে আবাসিক হোটেলে অবস্থানের খবর পেয়ে নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদকালে হেফাজত কর্মীরা রিসোর্ট ভাংচুর চালিয়ে মামুনুল হক ও তার সাথে থাকা নারীকে ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার ২৭ দিন পর অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল জান্নাত আরা ঝর্না নামের ঐ নারী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ ও সর্বশেষ রয়েল রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ই এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে।