ষ্টাফ রিপোর্টার
কয়েকমাস পুর্বেও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমান পালিয়ে গেলে এখন বিএনপি নেতাদের নাম ব্যবহার করছে ! ফলে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফতুল্লার অন্যতম তেলচোর হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি চিহ্নিত তেলচোর ফরহাদ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নাম ভাঙ্গিয়ে অতীতে অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রনের অভিযোগ দীর্ঘদীনের। অতীতে স্বেরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের পাশাপাশি ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর নাম ভাঙ্গিয়ে ফতুল্লায় বিভিন্ন অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রন করে আসলেও গত ৫ আগষ্ট স্বেরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে ফতুল্লায় সন্ত্রাসী ফরহাদের অবৈধ সেক্টর নিয়ন্ত্রনে বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফরহাদ।
ফতুল্লায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে কোন ধরনের সুবিধা করতে না পেরে এবার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকিঁর খানের নাম ভাঙ্গিয়ে আবারো ফতুল্লার যমুনা এবং মেঘনা ডিপোর চোরাই তেল সেক্টরের নিয়ন্ত্রন নিতে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী পথে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফরহাদের বিরুদ্ধে। এসময় সন্ত্রাসী ফরহাদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে নদী পথে নোঙ্গর করা তেলবাহী জাহাজের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন বলে জাহাজের কর্মাচারীরা জানান।
এমনকি অবৈধ পন্থায় তেলচোর ফরহাদের চাহিদামত চোরাই তেল সরবরাহ করা না হলে তেলবাহী জাহাজের ষ্টাফদের গুমসহ হত্যা করে নদীতে ভাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করা হয়েছে বলেও জাহাজের ষ্টাফরা অভিযোগ করেন।
এদিকে, সন্ত্রাসী ফরহাদের নদী পথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া প্রদানের পর থেকে নদী পথে নোঙ্গর করা জাহাজ মালিকসহ ষ্টাফরা আতংকের মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করছেন। এদিকে, সন্ত্রাসী ফরহাদের চোরাইতেল সেক্টর নিয়ন্ত্রনে সন্ত্রাসী মহড়ার পর থেকে ফতুল্লা বিএনপি নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফতুল্লার বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ৫ ই আগষ্ট স্বেরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নাম ভাঙ্গিয়ে একটা চক্র বিভিন্ন ধরনের ফায়দা হাছিলে মাঠে নেমে পড়েছে। এ ধরনের সন্ত্রাসীদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে দলের বদনামসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দেরও ভাবমূতি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাছাড়া সন্ত্রাসী ফরহাদ বিএনপির কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয় বলেও ফতুল্লা থানা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ফতুল্লার একাধিক বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা জানান, সন্ত্রাসী ফরহাদ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর শেল্টারে ফতুল্লায় একের পর অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে ফরহাদ জড়িত ছিল। স্বেরাচারী সরকারের পতনের পর পরই ফরহাদ তার লেভাস পাল্টিয়ে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তার অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। সন্ত্রাসী ফরহাদের মত বিতর্কিত ব্যাক্তিদের শায়েস্তা করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছুই দলের পক্ষ থেকে করা হবে। দলের বদনাম করা হবে এমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে আরো জানান, গত ১৭ বছর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত কোন নেতা কর্মীই বিতর্কিত জর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমরা জানতে পারিনি। উল্টো দল করার কারনে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বেরাচারী শাসনামলে হামলা মামলায় জর্জরিত হয়ে নিষ্পেষিত জীবন যাপন পার করছে। আর উল্টোদিকে ফরহাদের মত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে তা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মো.ফরহাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭৯১৫৫৫৫@@ ) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী ফরহাদ নদী পথে সন্ত্রাসীদের নিয়ে সশস্ত্রমহড়া প্রদান করেছে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা হার্ডলাইনে রয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা সন্ত্রাসী ফরহাদসহ তার বাহিনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।