ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার আলোচিত শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদের ছেলে এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পেশাদার ছিনতাইকারী,মাদক ব্যবসায়অ আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীরের ছোট ভাই এলাকার চিহিৃত ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী মো.আসিফ এখন রীতিমত বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী যুবদলের সক্রিয় নেতা হিসেবেই আর্বিভুত হয়ে উঠেছেন। ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবসে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ ফতুল্লার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত ব্যানারে পুরো ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার দেয়ালে দেয়ালে সাটিয়ে দিয়ে নিজেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের ২নং ওয়ার্ডের সক্রিয় নেতা হিসেবে জাহির করার অপচেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। অথচ ডাকাত শহিদের পুরো পরিবারই নাকি মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক বাসিন্দা জানান, অত্র এলাকাতে শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ একটি আলোচিত নাম যার পুরো পরিবারই মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তার এক ছেলে আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর আর অপরজন হচ্ছে মো.আসিফ। ৫ আগষ্টের আগেও ওরা দুইভাই শ্রমিকলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলো এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তারা ছিলো অপরাধীর ভুমিকায়। ছাত্র-জনতার উপর হামলার অপরাধে শহিদ হোসেন ও ডাকাত আজমীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে ফতুল্লা থানায়। সেই মামলাঢ প্রায় দুই সপ্তাহ পুর্বে র্যাবের হাতে আটক হয়ে আজমীর বর্তমানে জেলে রয়েছে। মো.আসিফও কিন্তু ছিনতাইয়ের অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ মে ফতুল্লা থানা পুলিশের হাতেও গ্রেফতার হয়েছিলো। বর্তমানেও থেমে নেই আসিফের ছিনতাই এবং মাদক বিক্রির কর্মকান্ড। দাপা বালুর মাঠ এলাকার আশপাশে সহযোগিদের দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাদক বিক্রি করাচ্ছেন অর রাত যত গভীর হয়ে আসে ঠিক সেই সময়ে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নেমে পড়েন ছিনতাইয়ের কাজে। নিজের অপরাধ ঢাকতে এবং অপরাধের স্বর্গটুকু আকড়ে রাখতে বর্তমানে ইউনিয়ন যুবদলের ব্যানারে নেতা সেজে পুর্বের ন্যায় এখন চালাচ্ছে মাদক বিক্রি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম।
স্থানীয়রা আরো জানান,ডাকাত আজমীর বর্তমানে জেলে থাকায় এবং তার বাবা ডাকাত শহিদ বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলায় এলাকা ছাড়া হয়ে পড়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আসিফের খোলস পাল্টে যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের দুঃশ্চিন্তার যেন কোন শেষ নেই। স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের প্রায় ১৫ বছরে শহিদ-আজমীরের অত্যাচারে আমরা এতটাই অতিষ্ঠ ছিলাম যে কারোর কাছে কিছু বলার সাহসটুকু পাইনি। দীর্ঘদিন পর স্বস্তি নিশ^াস পেয়েও যেন হারাতে বসেছি আসিফের কারনে। কারন পুর্বে ওরা শ্রমিকলীগের ব্যানারে অপরাধ করতো আর বর্তমানে যুবদলের ব্যানারে করে বেড়াচ্ছে নানাবিধ অপকর্ম। তাদের দাবী,কিভাবে একজন ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা যুবদলের রাজনীতিতে যুক্ত হয় সে বিষয়ে ফতুল্লা থানা যুবদল ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারী সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তাদের কাছে দাবী,তারা যেন অনতিবিলম্বে আসিফের মত একজন ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতাকে যুবদলের রাজনীতিতে আশ্রয় না দেয়।
ডাকাত শহিদের ছেলে চিহিৃত ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা মো.আসিফকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপার,ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ,র্যাব-১১ এবং সেনাবাহিনীর সদয় হস্তক্ষেপ কাসনা করেন।