ষ্টাফ রির্পোটার
আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন,সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব আলম জুলহাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেছেন,ইকবাল মাহমুদ আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির কেউ নয় আওয়ামী লীগের দোসর।
গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের পদতলে থেকে নানানবিধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এলাকা ছাড়া করেছে। বরং ইকবালের নামে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন থানায় ছাত্র বৈষম্য বিরোধী গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ মামলা থেকে রেহাই পেতে বিএনপি’র নাম ব্যবহার করছে। এমন কি গত ২৫ অক্টোবর শহীদ জিয়া পরিষদ নামে একটি সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি দাবি করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তারা দাবি করেন, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে ইকবাল মাহমুদ সে দলের চামচামিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এখন নিজেকে শহীদ জিয়া পরিষদের নারায়নগঞ্জ মহানগরের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন পোস্টার ছাপিয়ে নিজেকে পিওর বিএনপি নেতা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভ্রান্ত না হয়ে ইকবাল মাহমুদকে বয়কট করার আহবান জানান আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, ইকবাল মাহমুদ, শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের কর্মী হিসাবে কাজ করতো এমনকি আলীরটেক ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে তাদের কাছে দিতো। এ থেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতো ইকবাল মাহমুদ।
সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানকে গুরু মেনে এতদিন আওয়ামী লীগের দালালী করে আসলেও গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা, সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমান পলাতক রইলেও ইকবাল মাহমুদ বিএনপি’র কিছু নামধারী নেতাদের ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে।
ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
এ থেকে মামলা থেকে বাঁচার জন্য ইকবাল মাহমুদ শহীদ জিয়া পরিষদ নামে একটি সংগঠনের নারায়নগঞ্জ মহানগরের সভাপতি দাবি করছে।অথচ শোক দিবস,শেখ হাসিনা,বঙ্গবন্ধু জন্মদিন সহ আওয়ামী লীগ ঘোষিত সবকটি কর্মসূচি পালনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিল ইকবাল মাহমুদ।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলীরটেক পুরান বাজারে এসএম আকরামের নির্বাচনী গনসংযোগ ও খাবার নষ্ট করে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে হামলা,মারধর করে।পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করায়।
এখন নব্য বিএনপি বনে যাওয়া সফল হবেনা বলে মনে করেন আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। বরং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ইকবাল মাহমুদ কে গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি।