ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের আলীগঞ্জের ধোপাতিতা এলাকায় মৎস্যখামারের কাজ করতে গেলে বাধা প্রদান এবং খামার বন্ধ করে দেয়ার হুমকী প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাইফুল ইসলাম মৃদুলগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলীগঞ্জ এলাকার মৃত.আলাউদ্দিনের ছেলে মো.মাসুদ বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম মৃদুলগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মো.মাসুদ উল্লেখ করেন যে,আমি ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নস্থ আলীগঞ্জ মৌজাধীন ধোপাতিতা এলাকায় সালাউদ্দিন এর ওয়ারিশগণ/কামালগং ও আরও অন্যান্য ওয়ারিশগণদের নিকট হইতে গত ৩১/১২/২০২৩ ইং তারিখে প্রায় ৫০০ (পাঁচশত) শতাংশ সম্পত্তিতে খামার করার উদ্দেশ্যে বাৎসরিক ভাড়াটিয়া হিসাবে ভাড়া নেই। উক্ত সম্পত্তি ভাড়া নেওয়ার পর হইতে বিবাদীগণ আমাকে ও আমার পার্টনার আবু মুসা বকতিয়ার সোহাগ, ইবনে মাসুদ,মোঃ কবির হোসে,শাহেনশাহ, আনিছুর রহমান, মাহমুদুল হাসান কে খামারে কোন প্রকার কাজ করিতে দেয় না। আমরা উক্ত সম্পত্তিতে খামারের কাজ করিতে গেলে বিবাদীগণ আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়–ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটাইয়া আমাদের খামারের কাজ বন্ধ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত– ১৭ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ১১টায় আমি ও আমার উল্লেখিত পার্টনারগণ আমাদের উক্ত ভাড়াকৃত সম্পত্তিতে খামারের কাজ শুরু করিতে গেলে উল্লেখিত বিবাদীগণ সাইফুল ইসলাম মৃদুল,মনির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা মনির এবং তার ছেলে ফরিদ হোসেন ফাহিম আরও অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন বিবাদীদের নিয়া আমাদের নিকট আসিয়া আমাকে ও আমার পার্টানারগণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ বিভিন্ন ধরনের ভায়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি সহ মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাসাইয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিধায় কোন উপায়ন্তর না পাইয়া বিষয়টি খানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করার আবেদন করিলাম।
স্থানীয়রা জানান,ফাতেমা মনির বিগত সময়ে সাবেক সাংসদ গডফাদার শামীম ওসমানের সহধর্মীনি সালমা ওসমান লিপির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তার ছেলে ফাহিম ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী,চাদাঁবাজি,কিশোরগ্যাং পরিচালনা করতো। তাদের দলীয় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর ফাতেমা মনির সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ব্যবহার করে এখনও পর্যন্ত বীরদর্পে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,দখলবাজি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মৎস্যখামারটি এখনও দখল করে আছেন।