ষ্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির কেন্দ্র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি এবং সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, মাদক ও অপসংস্কৃতি আসলেই খারাপ, মাদক অপসংস্কৃতিকে নির্মূলে একটা ঐক্য প্রয়োজন।
এ কাজ করার দায়িত্ব আমরা নিতে পারি। কারো প্রতি নির্ভরশীলতার প্রয়োজন নেই। শিশু সন্তানদেরকে ছোটবেলা থেকেই কোরআন হাদিসের শিক্ষা দিতে হবে। এটাই তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজে আসবে।
প্রত্যেকটি মসজিদে আবার আগের মত সকালে আরবি পড়ানোর ব্যবস্থা শুরু করতে হবে। এর জন্য ইমাম ও কমিটির প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি।
মাদক অপসংস্কৃতির বহাল থাবায় সামাজিক অবক্ষয় থেকে উত্তোরণ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রসন্ননগর আমজাদ কমিউনিটি সেন্টারে আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তাবলী পরগনা মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ কমিটির আহবায়ক মাওলানা বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুপুরের পীর সাহেব আল্লামা আব্দুল হামিদ দা:বা:, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমলাপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কাদির, দেওভোগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, লালমাটিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুফতি নুরুল আমিন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ইমাম ঐক্য পরিষদ কাশিপুর এর সভাপতি মুফতি জাকারিয়া মাহমুদ,কাশিপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুস সবুর কাসেমী, হাজীপাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব মুফতি মাহমুদ হাসান কাসেমী, ডালডা গেট মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি রফিকুল ইসলাম মাদানী, বক্তাবলী ইসলামী মডেল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মুফতি মোখতারর হোসাইন, বক্তাবলী জমিয়তে হিজবুল্লার সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম সালেহী,ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসান আলী, সহ সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন, বক্তাবলী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সভাপতি ও বিএনপি নেতা আল আমিন ইকবাল, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি জামাল সরদার, প্রমুখ।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নেতৃত্বদানকারী ভালো হলে যারা অপরাধী তারা শাস্তি পাবে। নেশা বা অপসংস্কৃতিতে জড়িত সন্তান বাবা-মাকে মানে না এর দায়িত্ব সামাজিক ব্যক্তিদেরকে নিতে হবে। পুলিশ ও রাষ্ট্র দিয়ে সাঁজা দেওয়ার আগে সমাজকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাজ থেকে যারা অপরাধী তাদের নাম কেটে দিতে হবে। এমন কি তাদেরকে এলাকায় না থাকা নির্দেশ দিতে হবে।
মনের অজান্তে আমরা অনেক অপরাধ করে থাকি। ওয়াজ মাহফিলে কাকে প্রধান অতিথি করা হবে। মসজিদে কে বড়, সিমেন্ট দিতে পারবে তাকে প্রধান অতিথি করে।
চোর বাটপার কে ইমামদের পাশে বসতে দেওয়া যাবে না। ভালো মানুষদের সম্মানিত করতে হবে। খারাপ মানুষকে ভোট দিবো না। ভালো মানুষকে ভোট দিতে হবে। ভারতের সবকটি চ্যানেল আমাদের সন্তানরা দেখে। ভারতের সবকটি চ্যানেলে অশ্লীলতা থাকে। সন্তানরা তা দেখে ভালোটা শিখবে কিভাবে। এসব চ্যানেল বন্ধ করতে সরকারকে চাপ দিতে হবে। ওলামায়ে কেরাম ধর্মীয় সামাজিক কাজ করেন, আমরা আশাবাদী আমাদের চিন্তা চেতনা পরিবর্তন হলে সমাজ ব্যবস্থা উন্নত হবে।