সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ।শনিবার (২৫ জানুয়ারী) বাদ আছর ফতুল্লার ইসদাইর বাজার এলাকায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুতফর রহমান খোকা বলেন,আরাফাত রহমান কোকো ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সাধারণ ও অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহাসিক অবদান রাখলেও প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেন। তিনি আরও বলেন, কোকো ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে থাকাকালীন সময়ে ক্রিকেট রাজনীতিমুক্তকরণ যেমন করেছেন, তেমনি বিরোধীদলীয় নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশে অনন্য নজির স্থাপন করেন।
ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম সম্রাট ও সহ সভাপতি শরিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদল ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তার মৃত্যুবরণের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।আমাদের ভাগ্য এতটাই খারাপ আমরা আমাদের ভাই হারালাম। এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ১/১১ এর পর আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয় মিথ্যা মামলায়। মিথ্যা অজুহাতে পরে তাকে নির্বাসিত করা হয়। আমরা দেখেছি করুণ অবস্থায় তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে।আমরা দেখেছি লাখো মানুষ তার জানাজায় শরিক হতে রাজপথে নেমে এসেছিল।আরাফাত রহমান কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি নিজে খেলাধুলা করতেন এবং খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ যে জায়গায় এসেছে এর প্রধান নায়ক ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।’ ‘তিনি ক্রিকেটকে সংগঠিত করতে, প্রতিষ্ঠিত করতে, মানোন্নয়ন করতে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি এদেশে একজন ক্রীড়ামোদী হিসেবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এ দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন, বলেন সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল।
এসময় মিলাদ ও দোয়ায় আরো উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা, মোহাম্মদ রেজাউল করিম ফারুক,মোহাম্মদ ইদ্দিস মিয়া,ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি মাখলেকুল মান্নান পায়েল,ফতুল্লা থানা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতিসংসদ সদস্য সচিব মোক্তার হোসেন,ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম,ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের ১নং কার্যকরী সদস্য মোমিন ইসলাম,বিএনপি নেতা,শফিকুর রহমান শফিক,আব্দুল জলিল,মহিউদ্দিন, শুক্কুর,আমির,মামুন, স্বপন,উৎসব ও হাফিজুল,জাকির সহ ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দির্ঘ্যায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। দুদিন পর তার লাশ দেশে নিয়ে আসা হয় এবং বনানী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।