ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের উত্তর গোপালনগরে সুদের টাকা দিতে দেরি করায় সুদখোর আলমগীর গং কর্তৃক নিরীহ ওমর ফারুক তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর, হামলা, ভাংচুর লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল বারেকের পুত্র মোঃ ওমর ফারুক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে আব্দুল বারেক উল্লেখ করেন বিবাদী মোঃ আলমগীর পিতা- মৃত সহর আলী মাদবর, মোঃ রাকিব ও শাকিল উভয় পিতা- আলমগীর,আলী ও গোলাম মোস্তফা উভয় পিতা শাহাবুদ্দিন,মোঃ জাকির পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- উত্তর গোপাল নগর, অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উক্ত বিবাদীগণ অত্র এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অসৎ ও খারাপ প্রকৃতির লোকজন হয় বটে। ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে অন্যান্য বিবাদীগণ অত্র এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করিয়া বেড়ায়। বিবাদীগন বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার নিকট হইতে অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করিয়া আসিতেছে। আমার বড় ছেলে মোঃ সুজন, কাতার হইতে গত-২৬/০১/২০২৫ ইং তারিখ আমার কাছে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা পাঠায়। তাহার খবর পাইয়া বিবাদীগন একে অপরেও পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে অদ্য ২৭/০১/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৪৫ ঘটিকার সময় আমার ছেলের কাতার হইতে পাঠানো টাকা পয়সা লুট করার উদ্দেশ্যে ছুরি, চাকু, চাপাতি, লোহার রড ও পাইপ সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া বে-আইনী বাসায় প্রবেশ করিয়া ঘরে ভাংচুর শুরু করিয়া প্রায় ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি ভাংচুর করিতে বাধা নিষেধ করিলে ১নং বিবাদী এলোপাথারী মারপিট করিতে থাকিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক নীলাফুলা ও গুরতর জখম করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ বারি মারলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হইয়া প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ হয়।
৪নং বিবাদীর হাতে থাকা চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট লক্ষ করে পোচ মারিলে ইহা বাম হাটুতে পোচ লাগিয়া গুরতর রক্তাক্ত জখম হয়।
৫নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে চিত করিয়া আমার মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গিয়া পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে স্বজোরে গুতা মারিয়া আমার পিঠে গুরুতর জখম করে। আমার স্ত্রী মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৩৫), আমাকে ছাড়াইতে আসিলে ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরিয়া এলোপাথারী কিলঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে এবং আমার স্ত্রীর গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে তখন গলায় থাকা একটি আট আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ৭০,০০০/- টাকা নিয়া যায় এবং আমার স্ত্রীর জামা কাপড় টানা হেচরা করিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়।
৩নং বিবাদী আমার শিশু বাচ্চা নাদিয়া (৩০) মাসকে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ে ধরিয়া ঘুরান দিয়া ছুয়ে ফেলিয়া দিয়া আমার বাচ্চা নাদিয়াকে গুরুতর জখম করে। ৬নং বিবাদী আমার বৃদ্ধা মা মোসাঃ কুলসুম বেগম (৬৫) কে এলোপাতারী মারধর করিয়া নীলাফুলা জখম করে।
বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদের সহযোগীতায় আমার ড্রয়ারে থাকা আমার ছেলের পাঠানো নগদ ৫,০০,০০০/-। টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়া যায় এবং ১নং বিবাদী ওয়্যার ড্রপের উপরের ড্রয়ারেই থাকা রুপালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের এর দুইটি চেক বই নিয়া যায়।
বিবাদীগন হত্যা করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়।
উপরোক্ত বিষয় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী ফারুক।