ষ্টাফ রিপোর্টার:
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত অপুষ্টি ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে আগামী ১৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জে (সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত) ৩,৪০,৫০৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান এর সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জানানো হয় আগামী ১৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত জেলার ৫টি উপজেলার ১০৫৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রে এক যুগে ৩,৪০,৫০৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।
এসময় ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের কতটা প্রয়োজনীয় ও এর কার্যকারিতা এবং কি কি সমস্যা হয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেজেন্টেশন করেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ এ কে এম মেহেদী হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১৫ মার্চ সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ১০৫৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৪২,২৯৪ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ২,৯৮,২১২ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙ এর ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন একটি জাতীয় ক্যাম্পেইন। তাই আমরা এই ক্যাম্পেইন এ কোন অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়াবো না। অসুস্থ্য শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো পরিহার করলেই কিন্তু কোন শিশু অসুস্থ্য হবে না। যেসকল শিশুকে চার মাসের মধ্যে ভিটামিন খাওয়া হয়েছে তাদেরকে ভিটামিন ‘এ’ না খাওয়ানো উচিত। যেহেতু ভিটামিন ‘এ’ ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর শরীরে রিজার্ভ থাকে। তাই আমি অনুরোধ করবো যাদের ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হয়েছে তাদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে নিয়ে আসবেন না।
সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই। তাই এই কার্যক্রমকে সফল বাস্তবায়ন করতে আপনারা সাংবাদিক মহল জাতির দর্পণ। আপনেরা সাধারণ জনগনের জাতীয় ভিটামিনের গুরুত্ব কি পরিমান এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের কতটা জরুরি সেই তথ্য পৌঁছিয়ে দিবেন।
জেলা ই পি আই সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ লুৎফর রহমানে সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর সার্ভিল্যান্স এন্ড ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোরশেদুল ইসলাম খান, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার (ডিএসএমও) ডাঃ নাসিরুল হক, সহকারী স্টোর কিপার মোঃশওকত জামান, মোঃ ইব্রাহিম খান, পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ সাইফুল সালমান সহ জেলার জাতীয়, স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।