স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালের পুর্ব পাশে অবস্থিত সাবেক সাজেদা হাসপাতালটি এখন রিভারভিউ নামে আবাসিক হোটেলে রুপ নিয়েছে এবং সেই আবাসিক হোটেলের অন্তরালে জাহিদ-আতাউর-শরীফগংদের জমজমাট দেহ ব্যবসা চলছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন এবং স্থানীয়দের দেয় তথ্যমতে জানা যায় যে, সাবেক সাজেদা হাসপাতালটি কারন বশত বন্ধ হয়ে যাওয়া পর সেটাকে ৩০ লক্ষ টাকা অগ্রিম ও দেড় লক্ষ টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তিতে নেয় আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহব্যবসায়ী জাহিদ-আতাউর-শরীফগংদের। স্থানীয় কিছু পাতি নেতা এবং বেশ কয়েকজন অপসাংবাদিককে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে পতিতা ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান,ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। এখানে রয়েছে বিশাল একটি ট্রাক ষ্ট্যান্ড। তাছাড়া প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা হতে দুরদুরান্তের যাহবাহনের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ এখানে আসেন ব্যবসায়ীক কাজে। কর্ম ব্যস্ততার মাঝে একটু বিশ্রামের জন্য সেখানে গিয়েও শান্তি পায়না সাধারন মানুষ।
কয়েকটি ফ্লোরের নিয়ে সেখানে ছোট আকৃতির প্রায় ৭০/৮০টি কক্ষ তৈরী করে প্রায় ২০’র অধিক যৌন কর্মী রেখে নিয়মিতভাবে দেহ ব্যবসা করছেন জাহিদ-আতাউর-শরীফগং। তারা আরও বলেন,ভবনটির নিচে একটি খাবারের হোটেল থাকলেও ২য় তলা থেকেই শুরু করে রিভারভিউ আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা। প্রায় মাসখানেক পুর্বে পুলিশের অভিযানে নারী-পুরুষসহ ১১ জনকে আটক করেছিলো পুলিশ। তাদের মধ্যে ৫ জন নারী এবং ৬ জন পুরুষ। সেই ঘটনায় নাকি জেলা পুলিশের একজন উর্ধঃতন কর্মকর্তাকে ২ লক্ষ টাকাও দিয়েছে জাহিদ-আতাউর-শরীফগং।
স্থানীয়রা জানান,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে অবস্থিত এ রিভারভিউ নামে আবাসিক হোটেলটি। পুলিশের নাকে ডগায় বসে নিরবে নাকি পুলিশকে ম্যানেজ করেই জাহিদ-আতাউর-শরীফগং এ ব্যবসা চালাচ্ছে তা আমাদের সকলের অজানা। তারা আরও বলেন,কোন সাংবাদিক কিংবা প্রশাসন যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জাহিদ-আতাউর-শরীফগংরা নামসর্বস্ত্র কিছু অনলাইন এর সাংবাদিকদেরকে পাহাড়ায় নিযুক্ত রেখেছেন।
সুত্রে জানা যায়, জাহিদ মুলত বিভিন্ন বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে সেখানে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহ ব্যবসা করাটাই নাকি তার মুল পেশা। এর আগে নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীর শাসনগাঁও এলাকাতে হোটেল ঝিনুক নামেও একটি আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহ ব্যবসা করতেন। সেখানে কয়েকমাস ব্যবসা করার পর স্থানীয়রা জেনে গেলে সেখান থেকে এ জাহিদকে বিতাড়িত করা হয়।
এ রিভারভিউ আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহ ব্যবসায়ীর অন্যতম হোতা মো.জাহিদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭১৫৪৫১৩@@ ) জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন,ভাই এটা মিথ্যা কথা। এখানে কোন প্রকার দেহ ব্যবসা করা হয় না। আপনি আমার হোটেলে আসেন সামনা সামনি কথা বলবো।