ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করলেও অধরায় রয়ে গেছে রিপা কনস্ট্রাকশনের মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল।
জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক আবু সুফিয়ানে হাত ধরে আইভীর ঘনিষ্ট সহচর হয়ে যায় মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল। যখনই আবু সুফিয়ানকে নিয়ে আইভীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় পরে আবু সুফিয়ানে স্থান দখল নেয় মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল। কে এই মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল, তিনি এক সময়ে প্রাইভেট টিচার ছিলেন, তার বাবা ছিলেন রেশন সপের দোকানদার। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের কদমরসুল এলাকার নুর উদ্দিন আহমেদ এর ছেলে। বর্তমান সময়ে আইভীর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে ব্যাপক পরিচিত আইভী শিবিরে। জেলার টানা তৃতীয়বারের মতো সেরা করদাতা যার অবধানে সেই মাঈন উদ্দিন আহদেম রাসেল।
এদিকে সাবেক মেয়র আইভীর বাড়িতে যখন পুলিশ অবস্থান নেন খবর পেয়ে ওই সময়ে আইভীর বাসভবনে ছুটে যান মাঈন উদ্দিন আহদেম রাসেল। প্রশাসনের বেষ্টনীতে আইভী যখন চুনকা কুঠি থেকে বের হয়ে রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে রিকশা যোগে নিজ বাড়িতে এসেছে বলে অনেকে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাঈনউদ্দিন আহমেদ রাসেল আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন এবং আওয়ামীলীগের অর্থদাতাও ছিলেন। গত ৫ আগস্টেও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামীলীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। এছাড়াও আইভীর ঘনিষ্ট সহচর হওয়াতে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদারদের কাজ না দিয়ে রিপা কনস্ট্রাকশন নামক মাঈনউদ্দিন আহমেদ রাসেলকে কাজ দিয়ে থাকে। তিনি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইভী ঘনিষ্ট আবু সুফিয়ানের পরের স্থান নেওয়া মাঈনউদ্দিন আহমেদ রাসেল সহ রয়েছে আখিল, কবির, মোতালিব, আবু কালাম, মাহাবুব, ফরিদ, নুরে আলম, হিরু, শাখাওয়াতকে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে আইভীর দুর্নীতির বিষধ চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সচেতন মহলের দাবী, অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের।